কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন ভবনের কিছু কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালার কাচ, পাইপ ভেঙে গিয়েছে। নির্মীয়মাণ একটি ভবনের একাংশ ধসে গিয়েছে। বহু বৈদ্যুতিক খুঁটি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। রবিবার বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিগুলি জেনারেটর চালিয়ে স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ বলেন, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট বানিয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন।
এদিকে, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব কয়েকটি ফার্ম রয়েছে। সেখানে নানা ধরনের ফসল চাষ হয়। ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় সেইসব ফসল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ হেক্টর জমির ডালজাতীয় শস্য, দশ বিঘার ধান, ছ’হেক্টর জমির কলা ও প্রায় ১০ লক্ষ টাকার
আম ক্ষতি হয়েছে। মেহগিনি বা অন্য প্রজাতির বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। যার মূল্য ১৮লক্ষ টাকা। ঝাড়গ্রামে একটি ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম রয়েছে। সেখানেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্র বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও তৈরি হয়নি। তার প্রক্রিয়া চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ এলেও ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত। ফলে ফার্মের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।