কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিটি ক্যাম্পাস এবং হস্টেলের পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। কাচের জানালাগুলি বেশিরভাগই ভেঙে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু আলমারি, কম্পিউটার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গবেষণাগারগুলির। প্রবল ঝড়ে সেই সব ঘরের কাচ ভেঙে যাওয়ায় জল ঢুকেছে বিভিন্ন মেশিনে। কম্পিউটার, প্রিন্টার সহ একাধিক ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বালিগঞ্জ ও রাজাবাজার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগে দামি এবং অত্যাধুনিক মেশিন রয়েছে। যেগুলি সব সময় চালিয়ে রাখা হয়। লকডাউনের জন্য সেই সব মেশিন দেখভাল করতে সমস্যা হলেও, অধ্যাপকরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কাজ করছিলেন। কিন্তু টানা লোডশেডিং হওয়ায়, সেগুলি শুধু বন্ধ হয়নি, ফের চালানো যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। গবেষণার জন্য বিদেশ থেকে আনা কেমিক্যাল এবং কোষ নানা তাপমাত্রায় রাখা ছিল। সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্যাম্পাস থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি। দুর্যোগের পর ক্যাম্পাসগুলির হাল-হকিকত দেখার জন্য দুই শীর্ষ আধিকারিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁরা জানান, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে গাছ উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি লুটিয়ে রয়েছে মাটিতে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা কাচের টুকরো। রাজাবাজার, বালিগঞ্জ, আলিপুর, বিহারীলাল এবং বারুইপুর ক্যাম্পাসে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস খোলা এবং ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ঘূর্ণিঝড়ের দৌলতে, সেই পরিকল্পনা বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসগুলিকে ফের পুরনো চেহারায় ফেরাতে সময় লাগবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।