নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে শাসন ও দেগঙ্গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। দেগঙ্গায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সাব স্টেশনের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিস ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উম-পুন ঝড়ের ছ’দিন পরও এলাকায় বিদ্যুৎ ও জল চালু হয়নি। বহুবার সর্বস্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এখনও বারাসত,বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বসিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখনও বিদ্যুৎ নেই। রাস্তার উপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে থাকলেও তা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা গোলাবাড়ি-বোয়ালঘাটা রাস্তার মজলিশপুর ও ডেওপুকুর এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত চলা বিক্ষোভে তিন জন বয়স্ক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে, দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীপাড়া সহ একাধিক গ্রামে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নেই। বাসিন্দারা বেড়াচাঁপা সাব স্টেশন ঘেরাও করে তালা লাগিয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুলিস ও দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিন বাগদা ও হাবড়ায়-২ ব্লকে ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের চারটি টিম গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করে। এছাড়া এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের টিমও বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, বিদ্যুতের দাবিতে বসিরহাটের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ট্যাঁটরা বাজার এলাকায় পথ অবরোধ করেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিরহাট-ন্যাজাট রোড অবরুদ্ধ করে রাখার পর পুলিসের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।