কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমা এলাকায় ৮৪৮ কিলোমিটার নদীবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে রায়মঙ্গল,কালিন্দী, ডাঁসা, বেতনি, ইছামতী, বিদ্যাধরী, বড়কলাগাছি সহ বিভিন্ন শাখা নদীর প্রায় ৫৩ কিলোমিটার নদীবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। ২০০-র বেশি জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ঘরবাড়ি বাঁচানোর তাগিদে বাসিন্দারা বস্তা ও বাঁশ এনে বহু জায়গায় ছোটখাট নদীবাঁধ মেরামতের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেচ দপ্তর মোট ৫৩টি জায়গায় বাঁধ মেরামতির কাজ চালাচ্ছে। হাসনাবাদ ব্লকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মঙ্গলবার থেকে ১৮টি জায়গায় নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
কিন্তু, মোট ১৫টি জায়গায় ২০০ থেকে ৭০০ মিটার পর্যন্ত বাঁধ কার্যত উড়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির ন্যাজাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউনিয়া ৭ নম্বর এলাকায় বিদ্যাধরীর নদীবাঁধ ২৫০ মিটারের বেশি ভেঙে গিয়েছে। প্রায় ২০ হাজার বস্তা ও হাজারের বেশি বাঁশ দিয়ে গ্রামবাসী বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করলেও জোয়ারে সবকিছু ভেসে গিয়েছে। এখন ওই জায়গায় ভাঙন আরও বেড়েছে।
একইভাবে সন্দেশখালি ২ ব্লকের খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীবাঁধের ৭০০ মিটারের বেশি অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ওই জায়গায় গ্রামবাসীর পক্ষে মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়। নদীর জল কিছুটা নামলে দুটি পল্টন জেটিতে মেশিন বসিয়ে কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাউনিয়া ও ন্যাজাট গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, জোয়ার ও ভাটার সময় ভাঙন আরও বাড়ছে। সামনের পূর্ণিমার কোটালের আগে বাঁধ মেরামত না-হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যদিও সেচ দপ্তরের দাবি, ওই ১৫টি জায়গায় বাঁধ মেরামতের জন্য কয়েক কোটি টাকা প্রয়োজন। বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাঁধ না-দিলে যেকোনও সময় তা ফের ভেঙে যাবে। তাই সমস্ত দিক দেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।