কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বুধবার ঘূর্ণিঝড়েরতাণ্ডবে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছে।পরের দিন সকাল হতে না হতেই ডাক পড়ে কাঠুরেদের। তবে শুধু কাঠুরে নয়, লকডাউনের এই পর্বে উপার্জনের আশায় অনেকেই হাত লাগান গাছ কাটার কাজে। এদিকে,হঠাৎ কাজ পাওয়ায় খুশি কাঠুরেরা। তাঁরাবলেন, গাছের মাপ অনুযায়ী মজুরি নির্ধারিত হয়। অনেকে শুধু কাটার চুক্তি করে, আবার অনেকেকাটার পরে গাছ কিনে নেওয়ার চুক্তিও করে। একটা বড় গাছ তিন-চারজনে মিলে কাটলে জনপ্রতি ৪০০/৫০০ টাকা উপায় হয়।সেক্ষেত্রে দিনে একটা গাছই কাটা সম্ভব।গাছ কাটার পর তা কিনে নিলে আয়ের অংশটা একটু বেশিহয়। তবে এই সময় চাহিদা বেশি থাকায় দিনরাত এককরে কাজ করায় পারিশ্রমিক অনেকটাই বেড়েছে। এখন দিনে জনপ্রতি এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় হচ্ছে। অধিকাংশ কাঠুরের মতে, ঝড়ে যেভাবে গাছ পড়েছে, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে এটা যেমন ঠিক, তেমনই এইসব গাছ আবার আমাদের মতো অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল। অনেকের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের মওকা বুঝে কাঠুরেরা গাছ কাটার রেট বাড়িয়েছে। ঝড়ের আগে যে গাছ কাটতে তাঁরা ৫০০/৭০০ টাকা নিতেন, ঝড়ের পর সেটাই কাটতে ১৩০০/১৫০০ টাকা নিচ্ছেন। আর বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ সেইটাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ কাটার কাজ চলছে। -নিজস্ব চিত্র