কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জনতা কার্ফুর দিন থেকেই বন্ধ রাজাকাটরা। দু’মাস বাদে দোকান খুলে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ আবার ভেঙে পড়েন কান্নায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা কতটা ক্ষতি করল তা হিসেব কষেও পাওয়া যাবে না। দু’মাস বিক্রি বন্ধ। ঘরের জমানো পুঁজি থেকে চলেছে সংসার। তার উপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি। ফলে আগামীদিনে ব্যবসার হাল আদৌ কতটা ফিরবে, সেই দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁদের।
লকডাউনের জেরে পয়লা বৈশাখ কিংবা অক্ষয় তৃতীয়ায় দোকানে পুজো দেওয়া যায়নি। বাড়িতেই লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি এনে পুজো করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার খোলার পর এদিন দোকান পরিষ্কার করে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে আসেন তাঁরা। তবে দোকান খোলার প্রথম দিনে ক্রেতাদের সংখ্যা ছিল একেবারেই হাতেগোনা। ব্যবসায়ী সমিতির এক কর্তা জানান, করোনা আতঙ্ক ব্যবসায়ীদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে। অনেক বয়স্ক ব্যবসায়ী এখন দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন। আর ট্রেন, বেসরকারি বাস বন্ধ থাকায় ক্রেতারা আদৌ কতটা আসতে পারবেন, সেই প্রশ্ন থাকছে। তবুও যেটুকু ব্যবসা হয়, তার জন্যই বাজার খোলা। দূরে থাকা কর্মচারীদের আসতে অসুবিধা হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং জল ঢুকে গিয়েছে। তার উপর ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। তাঁরা জানান, দু’মাস পর দোকান খুলে দেখা গেল, ইঁদুরের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার টাকার জিনিসপত্র। দোকানের ভিতর পড়ে রয়েছে মরা ইঁদুর।
কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতাভুক্ত না হওয়ায় রাজাকাটরা বাজার খুলেছে। বড়বাজারের অন্য অংশ খোলার বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে পোস্তা বাজার অনেক আগে থেকেই খোলা রয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রিক যথারীতি বিক্রি হচ্ছে সেখানে।