নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক পুলিস কনস্টেবলের মৃত্যুর পর গড়ফা থানায় ক্ষোভে ফেটে পড়ল নিচুতলার কর্মীদের একাংশ। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, গড়ফা থানার এক কনস্টেবল কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। রবিবার হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তিনি মারা যান। এই খবর আসার পর থানার ভিতরেই পুলিসের নিচুতলার কর্মীরা চেয়ার-টেবিল উল্টে দেন এবং জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। নিচুতলার পুলিস কর্মীদের দাবি, ওই কনস্টেবলকে প্রথমেই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সরকারি হাসপাতালে তাঁর ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। যে কারণে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে থানায় যান সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার প্রদীপ যাদব। তিনি পুলিস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এই বিষয়ে যুগ্ম-কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ওই কনস্টেবলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে থানায় ভাঙচুরের কথা শুনিনি। সহকর্মীর মৃত্যুতে সাময়িক ক্ষোভ তৈরি হয় নিচুতলার পুলিস কর্মীদের মধ্যে। ডিসি গিয়ে কথা বলেছেন, তাঁদের বুঝিয়েছেন। সমস্যা মিটে গিয়েছে।
এদিকে, থানায় যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এক কর্তার ব্যাখ্যা, শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। গোটা ঘটনার অন্তর্তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিক্ষোভরত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এই ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে এদিনই কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশ দিয়েছেন, কর্তব্যরত কোনও পুলিসকর্মী যদি অসুস্থ হন, তাহলে তঁাকে বেলেঘাটা আইডি, ডিসান বা অ্যাপোলোতে ভর্তি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কমব্যাট ব্যাটালিয়নের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। যা সামলাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পিটিএস-এ যেতে হয়।