কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাওড়া জেলার যেসব জায়গায় ফুল চাষ হয়, তার মধ্যে বাগনানের ঘোড়াঘাটা ও দেউলটি অন্যতম। এইসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার এই চাষের সঙ্গে যুক্ত। বাগান থেকে ফুল তুলে কোলাঘাট এবং হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুল বাজারে বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে এই সব পরিবারের। যদিও লকডাউনের পর থেকে ফুল চাষিদের জীবনযাত্রা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ফুলের বাজার বন্ধ থাকায় গাছেই শুকিয়েছে ফুল। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ফুল বাজারকে ছাড় দেওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু তা যে ক্ষণস্থায়ী হবে, তা টের পাননি তাঁরা। ঘূর্ণিঝড় সেই হাসি কেড়ে নিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে বহু গাছ পড়ে গিয়েছে, কোথাও ডাল ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মরশুমি ফুলের ক্ষতি বেশি। ফুল চাষিদের মতে, একে লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে, তার উপর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে যেভাবে ফুলগাছ নষ্ট হয়েছে,তা সামাল দেওয়া দুষ্কর। কয়েকমাস আগে এইসব এলাকায় ছত্রাকের সংক্রমণে গোলাপ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তা কাটতে না কাটতেই করোনা এবং তারপর উম-পুন, এই ত্রিফলা আক্রমণে ফুল চাষিদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। পুঁজিও প্রায় শেষ। ফলে নতুন করে গাছ বসিয়ে ফুল চাষ করার ক্ষেত্রেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।