গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে তাঁরা ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যান। একটানা ১৫-২০ দিন সমুদ্রে কাটিয়ে ট্রলার বোঝাই করে মাছ এনে ডায়মন্ডহারবারের ফিশ মার্কেটে বিক্রি করেন তাঁরা। মাঝে হয়ত দু’-একদিনের জন্য বাড়ি ফেরেন টাকা দিতে। আবার চলে যান সমুদ্রে। এটাই হচ্ছে পুকুরিয়া বেতবেড়িয়া গ্রামের মৎস্যজীবিদের রোজনামচা।
লকডাউন শুরু হওয়ায় জীবনের চাকাটাই উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে তাঁদের। যখন ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর কথা, তখন সেই ট্রলারকেই ডাঙায় তুলে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁদের মতে, পুকুরিয়া ও বেতবেড়িয়া গ্রামের ২০০ থেকে ২৫০ পরিবারের কেউ না কেউ ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। বছরের মধ্যে সাত-আটমাস সমুদ্রেই কেটে যায় তাঁদের। এখন কাজ না থাকায় উপার্জন তো নেই, উল্টে জমানো টাকা ভেঙে খেতে হচ্ছে।
কথা প্রসঙ্গে এক মৎস্যজীবী বলেন, প্রতি বছর পৌষ-মাঘ মাসে ট্রলার নিয়ে সমুদ্র থেকে গ্রামে ফেরার পর ট্রলার মেরামত করে পুনরায় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে মাছ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দিই। এবার লকডাউন শুরু হওয়ায় ট্রলার মেরামতের কাজ হয়ে ওঠেনি। ফলে কাজ করানোর পর কবে যে মাছ ধরতে যেতে পারব, কে জানে! তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থতির কথা বিবেচনা করে সরকার যদি মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে পরিবারগুলি বাঁচবে, নাহলে সবাইকে পথে বসতে হবে।