বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জল, বিদ্যুতের মতোই বলতে গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। সেই নেটওয়ার্ক বেহাল হয়ে পড়ায় আমজনতার পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হয় প্রশাসন। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজও ব্যাহত হয়। ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট সংগ্রহ করতে অফিসারদের কালঘাম ছুটে যায়। জেলা প্রশাসনের তরফে এদিনই সমস্ত মোবাইল কোম্পানিগুলিকে নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকঠাক না থাকায় প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তথ্য আদানপ্রদান খুবই জরুরি। আমরা এনিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তাদের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন শহরের জল নিয়ে হাহাকার শুরু হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় সাবমার্সিবল পাম্প চালাতে পারেননি। ফলে পুরসভার জলই ছিল ভরসা। কিন্তু, একই সমস্যায় পড়ে অধিকাংশ পুরসভা। বিদ্যুৎ না থাকায় পুরসভার পাম্পও চলেনি। দুপুরের পর উত্তরপাড়া, ডানকুনি সহ কিছু পুরসভা জেনারেটার চালিয়ে বা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু, তা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিভিন্ন পুরসভায় শুরু হয়ে যায় ক্ষোভ বিক্ষোভ। উত্তরপাড়ায় সকালেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, পুরসভার ৬৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। মানুষের ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের কোনও দোষ নেই। কিন্তু, তাঁরা যে পরিষেবা পাননি, এটা তো বাস্তব। ডানকুনির প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, জেনারেটার চালিয়ে কিছুটা জল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তা যথেষ্ট ছিল না। চুঁচুড়া পুরসভার ৫০ শতাংশ এলাকাতে এদিন রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। ফলে বিকালে মোঘলটুলি বিদ্যুৎবণ্টন কোম্পানির অফিসে একদল মানুষ বিক্ষোভ দেখান। চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা প্রতাপপুরের বাসিন্দা সমীর সরকার বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও অন্ধকারে ডুবে আছে। মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ স্বাভাবিক।