গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সেচপ্তরের কর্তাদের দাবি, বসিরহাট মহকুমার কমপক্ষে ৩৯টি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তারমধ্যে সিংহভাগ বাঁধ ভেঙেছে হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি এলাকায়। বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়ায় অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তারা কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর সামগ্রিক তথ্য জানায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের আমবেড়িয়া, বাঁকড়া, সাঁতরা, সাহেবখালি, কোটাবাড়ি, উত্তর মাহুতপুর গ্রামে ইছামতীর নদীবাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এই ব্লকের মালেকানা ঘুমটে এলাকায় কলাগাছিয়া নদীর বাঁধ ও গৌড়েশ্বর নদীর দক্ষিণ বোলতলা ও বরুণহাট সহ একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সন্দেশখালি১ ব্লকের বিদ্যাধরী নদীর শিতলিয়া ও সন্দেশখালি২ ব্লকে বিদ্যাধরী নদীর ধুলিয়া, বামনিয়া, আতাপুর গ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
এই দুই ব্লকে নদীবাঁধের অনেক জায়গা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জোয়ারের জলেও নতুন করে ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওইসব জায়গায় গ্রামবাসীরা নিজেদের ঘর থেকে বস্তা সহ অন্যান্য সামগ্রী এনে বাঁধ তৈরির মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন। হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামে ইছামতীর নদীবাঁধ ভেঙে আশপাশের পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের সিংহভাগ ঘরের মধ্যে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি১ ব্লকের জেলিয়াখালি গ্রামে সরকারি প্রকল্পের প্রচুর ঘরবাড়িও ভেঙে গিয়েছে। প্লাবিত এলাকায় নলকূপ জলের তলায় চলে যাওয়ায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক গবাদি পশু ভেসে গিয়েছে। মাঠ থেকে ঘরে আনা ধানও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। এছাড়া মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হাসনাবাদ, বাদুড়িয়া সহ অন্যান্য ব্লকেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বারাসত ও বনগাঁ মহকুমাতেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বারাসত শহর, অশোকনগর, গাইঘাটা, বাগদা, বনগাঁ সহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে কয়েক হাজার বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। প্রবল ঝড়ে প্রচুর ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।