কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ফসল ও বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। জীবনহানির ঘটনাও ঘটেছে। চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, উম-পুন এর তাণ্ডবে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন রাজেশ্বর পাল(৩৫) ও উত্তম পাল(৩৫), পরশুরাম যাদব(৬২) ও সুকান্ত পোদ্দার(৩৭)। এর মধ্যে দু’জন শ্রীরামপুরে, একজন চুঁচুড়ার সুকান্তনগর ও অপরজন বাঁশবেড়িয়ায় মারা গিয়েছেন।
ঝড়ের দাপটে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বুধবার রাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অধিকাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। প্রচুর গাছ বিদ্যুৎবাহী তারে ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তার জেরেই আমজনতাকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা বৃহস্পতিবার প্রবল আকার ধারণ করে। তার জেরে প্রশাসনিক কাজকর্ম নানাভাবে ব্যাহত হয়।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ডানকুনি, চণ্ডীতলা, মশাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া হিসেব মতো জেলায় প্রায় ১৫ হাজার বাড়ি কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, হুগলি জেলার কৃষি ক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া হিসেব মতো জেলায় প্রায় ৫৮০কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েত কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকেই হুগলিতে ঝড়ের দাপট বাড়তে শুরু করেছিল। সন্ধ্যার মুখে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ঝড়ের দাপটে এতটাই ছিল যে, চণ্ডীতলায় একটি জেনারেটরকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে গাছের ডালে উঠিয়ে দেয়। ডানকুনির রেলপথে থাকা একাধিক ধাতব পিলার বাঁকিয়ে দেয়। ঝড়ের রাতে বাইক নিয়ে বাইরে বেরতে গিয়ে শ্রীরামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জন মারা যান। শ্রীরামপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম রাজেশ্বর পাল ও উত্তম পাল। এদিকে, রাতেই বাড়ির উপরে গাছ পড়ে যাওয়ায় বাঁশবেড়িয়ার পরশুরাম যাদবের মৃত্যু হয়। চুঁচুড়ার সুকান্তনগরে বাড়ি চাপা পড়ে মারা যান সুকান্ত পোদ্দার।