বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকায় প্রায় ২০০ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। প্রায় ৩০০ মানুষকে বুধবার রাতে কাদাপাড়া মোড়ের সাবওয়েতে আশ্রয় দেওয়া হয়। দত্তাবাদে রাতে ঝড়ের সময় একটা বট গাছ পাশে থাকা মন্দিরকে নিয়ে একটা টালির বাড়িতে ভেঙে পড়ে। মোট চারজন চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে গিয়ে অনেক চেষ্টার পর তাঁদের উদ্ধার করে।
৩৬ নং ওয়ার্ডে যেহেতু কাঁচা বা টালির বাড়ি বেশি, তাই সেখানকার কুলিপাড়া, ছয়নাভি, খাসমহল, ত্রিনাথপল্লি, বাসন্তী কলোনি, শান্তিনগর, নাওভাঙাতে প্রায় শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০০ মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রান্না করে তাঁদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু জায়গায় উদ্ধারকাজ চালানো যাচ্ছে না। প্রায় একই অবস্থা সল্টলেক এবং নিউটাউনের মহিষবাথান এলাকায়। সব মিলিয়ে প্রায় শতাধিক বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। সল্টলেক মহিষবাথানের এক জায়গায় বাঁশঝাড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে আগুন ধরে যায়।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ক্লাবঘর, পোলেনাইট এবং থাকদাঁড়ি স্কুলে বহু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। নারায়ণপুর-বাবলাতলার দিকেও বহু গাছ, ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে উপড়ে গিয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাজারহাট গ্রামীণ এবং নিউটাউনেও বহু গাছ এবং ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করতে অন্তত পাঁচদিন সময় লাগবে।