বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শহরাঞ্চলের বহু এলাকা জলমগ্ন বুধবার রাত থেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলেও জল সরেনি অনেক জায়গায়। বড় রাস্তা থেকে অলিগলি, কোথাও গাছ, কোথাও ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে অবরুদ্ধ। এর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায়।
হাওড়া পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শালিমারের কিশোরী লক্ষ্মীরানি সাউ ছাড়াও ঝড়ের সময় বাড়ি চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন উনসানি নস্করপাড়ার বাসিন্দা বাদল পোলেল। এছাড়া জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছেন বেলুড়ের হরেন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা বিকাশ সিং, টিকিয়াপাড়ার যুবক খালেক নিসাদ, ব্যাঁটরার বাসিন্দা সঞ্জয় গুপ্তা সহ আরও একজন।
পুরসভার এক কর্তা জানান, তাঁদের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৭০ জন কর্মী বুধবার ঝড় থামার পর থেকেই কাজে নেমেছিলেন। ব্যবহার করা হচ্ছে ২০টি বৈদ্যুতিক করাত। এরপরও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অনেক রাস্তা পরিষ্কার করা যায়নি। নিকাশি নালা উপচে নোংরা জল বসতবাড়িতে ঢুকেছে বেলগাছিয়া, কদমতলা, ফকির ঘোষ লেনের বিভিন্ন বাড়িতে। বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে। জমা জল সরাতে বেশ কিছু জায়গায় পোর্টেবল পাম্প ব্যবহার করা হলেও জল ফেলারই জায়গা না-থাকায় সুফল মিলেছে সামান্য। পুলিস, দমকল, পুরসভা, সিইএসসি একসঙ্গে কাজ করছে বিভিন্ন জায়গায়।
উলুবেড়িয়া পুরসভা এবং বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের ধ্বংসচিত্র আগের সব ক্ষতির রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে পাঁচলা ব্লকে ও বাকি দু’জনের মৃত্যু হয়েছে উলুবেড়িয়া ২ ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতেরা হলেন, ভারতী প্রামাণিক, আরফান বিবি, শম্ভু পাত্র ও সুকুমার ঢালি।
উদয়নারায়ণপুরের ভাটোরার দ্বীপ অঞ্চল, গাদিয়াড়া, শ্যামপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় হাজার হাজার কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে বা চাল উড়ে গিয়েছে। জেলার পানচাষ, ফুলচাষ কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।