বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মাইক্রোপট সিস্টেমে চাষের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল জেলায়। এতে জমির বাইরেই চারাকে কিছুটা বড় করে নেওয়া হয়। এতে মূল চাষের সময়সীমা কমে যায়। সেই পরিকল্পনাতেই সিঙ্গুরে আড়াই লক্ষ চারা তৈরি করে রেখেছিল কৃষিদপ্তর। কিন্তু এপ্রিলের দশদিন পেরিয়ে যাওয়ার মুখেও সেই চারার সিংহভাগই এখনও কৃষকরা সংগ্রহ করেননি। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই ভুট্টা, বেবিকর্নের মতো ফসল চাষে কৃষকরা আগ্রহ পাচ্ছেন না। একই অবস্থা ঝিঙে, শশার মতো ফসলের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে। তবে ভুট্টা নিয়ে আমরা বেশি আতঙ্কিত। কারণ, পাটের বিকল্প হিসাবে তিল ও ভুট্টার মতো ফসল চাষ শুরু করা হয়েছিল। তা জনপ্রিয়ও হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতি জেলার চাষ মানচিত্রটাই বদলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা হচ্ছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটের বিকল্প হিসাবে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভুট্টা চাষ রমরমিয়ে চলছিল। কৃষকদের আরও উৎসাহিত করতে একটি গাছ থেকে অন্তত চারটি ভুট্টার কোণ তৈরি হবে, এমন চারা দেওয়া হয়েছিল। ভুট্টা ও কচি ভুট্টার কোণ বা বেবিকর্নের রেস্তরাঁ শিল্পে বিরাট চাহিদা থাকায় কৃষক মহল উৎসাহিত হয়েছিল। কিন্তু বিরাট বাজারের সেই স্বপ্ন মাঠে মারা গিয়েছে করোনার দাপটে। এবছর ভুট্টা ও বেবিকর্ন চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে না জেলার বড় অংশের কৃষককুল। ফসল ওঠার সময় পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে না পারায় কার্যত অসহায় দেখাচ্ছে জেলার কৃষিকর্তাদেরও।