বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এদিন করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রী রাজ্যের প্রায় সব পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম জানান, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড করোনা এবং ডেঙ্গু উভয়ের পক্ষে ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি রাসায়নিক যা করোনা ভাইরাসকে যেমন ধ্বংস করবে, তেমনি একই সঙ্গে ওই রাসায়নিকে ডেঙ্গু মশার লার্ভাও নষ্ট হবে। ফলে, যেমনভাবে স্প্রিংকলার এবং মিস্ট ব্লোয়ার যন্ত্র দিয়ে জীবানুনাশ করার কাজ চলছে, তেমনটাই চলবে। বিভিন্ন পুরসভাকে এই ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীদের ‘উই কেয়ার’ নামক একটি বিশেষ ধরনের পোশাক দেওয়া হবে এই কাজ করার জন্য। এটা কিছুটা পিপিই পোশাকের মত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে পোশাকটি একটু আলাদা হবে। এই পোশাকটি বিশেষভাবে নকশা করে তৈরি করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ।
এছাড়াও তিনি বলেন, কোভিড ১৯ এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে পুর-কর্মীদের।
অপরদিকে গ্রীষ্মের এই সময় শহর কলকাতায় প্রতি বছরই জলসঙ্কট দেখা যায়। তাই সে বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘনঘন হাত ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত জল ব্যবহার হচ্ছে। তিনি বলেন, জল পরিশুদ্ধ করার জন্য যে ধরনের রাসায়নিক প্রয়োজন, তার জোগানে কোনও সমস্যা হবে না। সেই ব্যাপারে আধিকারিকদের নজর দিতে বলেছি। সেই সঙ্গে জল যাতে অপচয় না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে পুর-কর্মীদের। বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেসব বাড়িতে অপ্রয়োজনে কল খোলা থাকে, দরকার হলে তাঁদের নোটিস পাঠাবে পুরসভা।