রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ট্রেনের মধ্যেই ‘মিনি হাসপাতাল’। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ট্রেনে ১০টি কোচ থাকছে। একটি ট্রেনে থাকতে পারবেন মোট ৮০ জন রোগী। এক একটি কোচে নয়টি চেম্বার। ৮টি চেম্বার রোগীদের জন্য। অর্থাৎ এক একটি চেম্বারে আটজন রোগী থাকতে পারবেন। একটি চেম্বার ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। সেখানে অক্সিজেন সিলিণ্ডারও রয়েছে। একটি কোচে চারটি টয়লেটের মধ্যে একটি স্নানের জন্য। বাথরুমের স্নানের যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। জলের ট্যাপ, বালতি, মগ ইত্যাদি। ট্রেনের রেক থাকবে রাস্তার দিকে। বিদ্যুৎ, পানীয় জলের যাবতীয় সুবিধা থাকবে। কোচের মধ্যে যাতে মশা না ঢুকতে পারে, তার জন্য কোচের জানলাগুলি জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সূক্ষ্ম জাল ভেদ করে মশা ঢুকতে পারবে না। জানা গিয়েছে, রোগীদের ডিসপোজেবল বেডশিট দেওয়া হবে। প্রতিদিন এই বেডশিট বদল হবে।
রেল সূত্রের খবর, রেলের এই আইসোলেশন কোচগুলিতে সাধারণ রোগীরাও ভর্তি হতে পারবেন। রেল কর্তারা জানান, রাজ্য সরকার যেখানে আইসোলেশন কোচ রাখার নির্দেশিকা দেবে, সেই অনুযায়ী রাখা হবে ট্রেনগুলি। যে এলাকায় আইসোলেশনে রাখার রোগীর চাপ রয়েছে। সেই এলাকার কাছকাছি স্টেশনে এই ট্রেন রাখা হবে। এই আইসোলেশন কোচগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। সূত্রের খবর, বুধবার বারাকপুর স্টেশনে ১০ কোচের একটি ট্রেনে এসে পৌঁছেছে। তবে সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও রোগী ভর্তি হয়নি।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, আইসোলেশন কোচগুলি এক ধরনের মিনি হাসপাতাল। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে। রোগীদের কোনও অসুবিধা হবে না। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বদা থাকবেন। পূর্ব বেলে মোট ৩৩৮টি কোচ বিভিন্ন স্টেশনে যাবে। ইতিমধ্যে ২৪১টি কোচ রেডি হয়ে গিয়েছে।