কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার হাটথুবা সমবায় সমিতিতে প্রচুর দরিদ্র মানুষ অল্প অল্প করে দীর্ঘদিন টাকা সঞ্চয় করেছেন। কিন্তু সেই টাকা তুলতে গিয়ে এখন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সমবায় আধিকারিক অজয় মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিস, হাটথুবা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পদাধিকারী ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করা হয়। বুধবার সকাল থেকে প্রচুর মানুষ টাকার দাবিতে ভিড় জমান। পুলিস ও র্যাফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১০০ গ্রাহককে কিছু পরিমাণ টাকা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সমবায় দপ্তরের আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন, প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষি সমবায় কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ওই বিপুল পরিমাণ টাকা একটি ব্যাঙ্কে টার্ম ডিপোজিট করেছিলেন। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও ওই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে গ্রাহকদের দিতে সমস্যা হচ্ছে। হাবড়ার আরও তিনটি সমবায় সমিতি একইভাবে সমস্যায় পড়েছে। যদিও ওই তিনটি সমবায় সমিতি অল্প পরিমাণ টাকা রেখেছিল। সমবায়
দপ্তর ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। সমবায় দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, ব্যাঙ্কের তরফে সঠিক উত্তর পাওয়া গেলে টাকার বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা যাবে। লকডাউন উঠলে সমবায় সমিতির কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা
হবে। যদিও গ্রাহকরা এই যুক্তি
মানতে নারাজ। একাংশ গ্রাহকের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে।
হাটথুবা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক দীপঙ্কর সরকারকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।