বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বারাকপুর-২ ব্লক এলাকার বিলকান্দা ভোদাইয়ে প্রায় ১৫০টি ক্ষুদ্রশিল্পের কারখানা রয়েছে। বিস্কুট, রাবার, ছাতা, চেয়ার, প্লাস্টিক সহ নানান দ্রব্যের এখানে উৎপাদন ঘটে। গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন। সমস্ত কারখানাই বন্ধ। সরকারি নির্দেশ মতো শ্রমিকদের মাইনে দিচ্ছেন মালিকরা। তবে কারখানার বিদ্যুতের বিল তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষুদ্রশিল্পে দুই ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ হয়। এক, এলটি অর্থাৎ লো টেনশন কানেকশন। দুই, এইচটি অর্থাৎ হাই টেনশন কানেকশন (পৃথক ট্রান্সফরমার নিয়ে সংযোগ)। এইচটির ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ প্রায় ৪০ হাজার টাকা থাকেই। এরপর ইউনিট অনুযায়ী বিল।
বিলকান্দা ভোদাই ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন দে বলেন, লকডাউনের জেরে কারখানাগুলিতে উৎপাদন বন্ধ। বিদ্যুৎ বিল আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ রিডিং না নিয়েই বিল পাঠানো হচ্ছে। গড়পড়তা বিল এসেছে। এইচটি কানেকশন কারখানাগুলির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দিনের মধ্যে বিল না জমা দিলে বিদ্যুৎ দপ্তরের থেকে আপনা আপনি সংযোগ বিচ্ছিন্নের চিঠি চলে আসবে। সংযোগ বিচ্ছিন্নে চিঠি একবার বেরিয়ে গেলে আবার জটিলতা তৈরি হবে। নানান ধরনের চার্জ দিতে হবে। চন্দনবাবু বলেন, আমাদের দাবি, রিডিং নিয়ে বিল পাঠানো হোক। এবং মার্চ, এপ্রিল মাসের বিল কিছুদিন পরে নেওয়া হোক। বিল মেটানোর ক্ষেত্রে কিস্তির সুযোগ দেওয়া হোক। নইলে এখানকার বেশিরভাগ কারখানাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাজ হারাবেন শ্রমিকরা। এখানে কোনও বড় শিল্প নেই। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্তা বলেন, ক্ষুদ্রশিল্পের কারখানাগুলির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশিকা আসেনি। দপ্তরের নিজস্ব নিয়মানুযায়ীই বিল পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে, বিলকান্দা ভোদাই ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকায় প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁরা বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও এরাজ্যের বিভিন্ন জেলার। শ্রমিকদের সরকারি তরফে রেশন দেওয়ার দাবি তুলেছেন কারখানার মালিকরা। তাঁরা জানান, কুপন দিয়ে এই সব শ্রমিকদের রেশন দেওয়া হলে উপকৃত হতেন।