ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জেলা পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা, সাগর, কাকদ্বীপ, কুলপি, কুলতলি, নামখানা সহ বিভিন্ন দিকের মানুষ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় ইটভাটা ও আলুর হিমঘরে কাজ করেন। লকডাউনের জেরে অনেকেই সেখানে আটকে যান। এরমধ্যে নিয়ম ভেঙে রাতের অন্ধকারে কেউ কেউ হুগলি নদী পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বাড়িতে আসার টার্গেট নেন। মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের প্রথমে এজন্য অনেকে ধরা পড়েন। এরমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর ইটভাটা থেকে আগত কুলতলির ৮১ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় আলুর গুদামে কর্মরত পাথরপ্রতিমার ২৫ জন ধরা পড়েন। এছাড়া পূর্ব বর্ধমান থেকে পালিয়ে আসা ৩ জনকে ধরে পুলিস।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে ধৃতদের সকলকে বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে গঙ্গা সংলগ্ন বিভিন্ন জেটিঘাট, নদীর ধার বরাবর নজরদারি। নদী ঘেঁষা গ্রামগুলিতেও পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে রাতে পাহারা চলছে। জাতীয় সড়ক সহ গ্রামের সমস্ত রাস্তায় নাকাবন্দি চালু হয়েছে। এছাড়াও যে সব জায়গা দিয়ে যাতায়াত হতে পারে, সেখানে সেখানে মেডিকেল টিম ও কুইক রেসপন্স টিমকে রাখা হয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকাতে আলাদাভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। ওই সব জায়গাতে গ্রামের মানুষকে এ নিয়ে সচেতনের জন্য প্রচার চলছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, পুলিস ও প্রশাসন জোট বেঁধে কাজ করছে। এমনিতে আমাদের জেলাতে করোনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫০০ কোয়ারেন্টাইন বেড প্রস্তুত। এছাড়া আরও চার হাজার বেড রেডি করা হয়েছে। এছাড়াও ছটি হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আড়াইশো বেড রয়েছে। করোনা নিয়ে কোনও খবর এবং বাইরে থেকে আগতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক করা হয়েছে। সেই নেটওয়ার্ক আলিপুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে মহকুমা ও ব্লক থেকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত যুক্ত।