ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
লকডাউন ভেঙে শহরের রাস্তায় ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই বিষয়টি কয়েকদিন আগে কানে যায় পুলিস কমিশনারের। তিনি সমস্ত থানা ও ট্রাফিক গার্ডের অফিসারদের নির্দেশ দেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যে সমস্ত গাড়ি রাস্তায় উদ্দেশ্যেহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। এরপরই একযোগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক গাড়ি ও মোটরবাইক। মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০টির বেশি গাড়ির বিরুদ্ধে কেস করা হয়েছে। এরা নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বেরিয়েছিল বলে অভিযোগ। লকডাউন চলা পর্যন্ত ধরপাকড় চালু থাকবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এরপরই কৌশল বদল করে অনেকে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন বলে পুলিসের কাছে খবর আসছে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় জড়িত বা সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্তরা, পুলিস এবং মিডিয়াকর্মীসহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গাড়িতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের কাছে খবর গিয়েছে, অনেকেই পুলিস বা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভুয়ো বোর্ড বা কম্পিউটার প্রিন্ট কাচের উপর লাগিয়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছেন। এই গাড়িতে যে বা যাঁরা থাকছেন, তাঁরা কেউই জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত নন। প্রকৃত অর্থে এই গাড়িগুলি পুলিসকে ধোঁকা দিয়ে শাটল ভাড়া খাটছে। সরকারি দপ্তরের বোর্ড বা পুলিস লেখা দেখে অনেক ক্ষেত্রেই কর্তব্যরত পুলিস কর্মীরা এই গাড়িগুলিকে ছেড়ে দিচ্ছেন।
এবার এই ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ গেল সমস্ত থানা ও ট্রাফিক বিভাগের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, সরকারি দপ্তর পুলিস বা সংবাদমাধ্যমের বোর্ড গাড়িতে লাগানো থাকলে সংশ্লিষ্ট গাড়িটিকে আটক করতে হবে। যিনি এই গাড়িতে রয়েছেন, তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কি না এবং এই সংক্রান্ত নথি দেখাতে হবে। তবেই সংশ্লিষ্ট গাড়িটি যাওয়ার ছাড়পত্র মিলবে। যদি দেখা যায় গাড়িতে লাগানো বোর্ড মিথ্যা, তাহলে গাড়িটির বিরুদ্ধে এবং তাতে যিনি রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধেও কেস রুজু করা হবে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, গাড়ি আটকানোর ক্ষেত্রে যেন নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয় এবং অফিসার বা পুলিস কর্মীরা গাড়িতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে যেন বিনীত আচরণ করেন।