রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে কর্মসূচি শুরু করতে রাজ্যের সব পুরসভাকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই কাজ দেখভালের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্মসচিব শরৎ দ্বিবেদিকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপর নজরদারির জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের একজন করে যুগ্মসচিব পর্যায়ের অধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় করোনা পর্বের আগে থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে, এবার গোটা রাজ্যেই এই কর্মসূচি চলবে।
গত কয়েকবছর ডেঙ্গু নিজের প্রকৃতি বদলে আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। সোমবার নবান্নে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই মমতা জানান, করোনার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সাবধান হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। গরম ও বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য দুটি দপ্তরের উপর দায়িত্বও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্মসচিবকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শহর, পুরসভা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সমস্ত স্তরেই ডেঙ্গু আটকাতে শুরু হচ্ছে কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের সব পুরসভা ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ, করোনার এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ যদি আবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। তাই আগাম সতর্কতায় বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য। উল্লেখ্য, গত বছরও রাজ্যে ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এবার যাতে ডেঙ্গু থাবা বসাতে না পারে, তার জন্য এখন থেকেই সজাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।