বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সংগঠন সূত্রে জানা গেল, রাজ্যের মোট পাঁচশোর কাছাকাছি ইউনিটে আটজন করে কারিগর কাজ করেন। আবার কালীপুজো, দুর্গাপুজো বা অন্যান্য যে পুজোগুলির রমরমিয়ে হয়, সেই দিনগুলিতে কোথাও কোথাও অত্যধিক কারিগর নিয়োগ করতে হয়। এঁরা প্রত্যেকেই আশা করেন, অন্তত কিছু টাকা আয় করে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ জিএসটি চাপানো থাকলে কারিগর কীভাবে আয় করবেন? অনেকেই তাই অন্য কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। এত স্বল্প আয়ে এখন তো কারিগর পাওয়াও সমস্যার। কেন কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না বলুন তো, প্রশ্ন তুললেন সমীরবাবু। তিনিও এও বললেন, ধূপকাঠি শিল্পে যেখানে মাত্র পাঁচ শতাংশ জিএসটি ধরা হয়, সেখানে কেন মোমবাতির জন্য ১২ শতাংশ? আমি বারবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনে দরবার করেছি। কিন্তু তেমন কাজ হয়নি।
চাঁদনি চকের এক ব্যবসায়ী বললেন, দীপাবলির পর আমরা মোমবাতি তেমন বের করি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর অনেকে আমাদের ফোনে যোগাযোগ করে বলেন, যেভাবে হোক অন্তত একটা প্যাকেট জোগার করে দিন। যতটা টাকা লাগবে দেওয়া যাবে। কোনও অসুবিধা নেই। আবার ক্যানিং স্ট্রিটের এক ব্যবসায়ী আক্ষেপের সুরে বললেন, লকডাউন চলছে, তাই কোনও ব্যবসা খোলা যাচ্ছে না। কিন্তু এখন যদি পসরা নিয়ে বসতে পারতাম, দু’দিনে অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকা ব্যবসা করে নিতে পারতাম।
বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে এক মোমবাতির খুচরো ব্যবসায়ী বললেন, দু’দিনে যা চাহিদা ছিল, তা এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। বারবার আমার কাছে ফোন এসেছে। কেউ কেউ বলেছেন, দোকানের পিছনের গেট দিয়ে কি এক প্যাকেটও বের করা যাবে না?