বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয় । ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর কয়েকদিন গেজেট প্রকাশিত হয়নি। কলকাতা পুলিসের গেজেট মানে কী? আসলে এটি হল কলকাতা পুলিসের নিজস্ব বার্তা, যা কি না ইংরেজ আমল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এর বিষয়বস্তু হল, কলকাতা পুলিস কমিশনারের আদেশনামা থেকে ডিসিরা কোনও অর্ডার জারি করলে তা গুরত্ব সহ ছাপা হয় এই গেজেটে। তেমনই পুলিসের বদলি, পদোন্নতি, শাস্তি, পুরস্কার সবই ফলাও করে ছাপা হয় গেজেটে।
পাশাপাশি, লুকআউট নোটিস থেকে শহরে অপরিচিতের দেহ উদ্ধার হলেও তা নিয়ে তথ্য চাওয়া হয় এই গেজেটে। শহরের কোথায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়। শহরের কোন রাস্তা ওয়ানওয়ে করা হল তাও জানান দেয় গেজেট। সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিসের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই গেজেট। সর্বোপরি গেজেটের আইনি একটি গুরুত্ব অপরিসীম। কোনও বিজ্ঞপ্তি গেজেটে প্রকাশিত না হলে তা বিধি হিসেবে গণ্য করা হয় না।
এই পরিস্থিতিতে করোনা মহামারীর গ্রাসে পড়ল কলকাতা পুলিসের গেজেটও। তা না পেয়ে তাই পুলিস মহল কিছুটা বিমর্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস অফিসারের কথায়, সকালে খবরের কাগজ আর বিকেলে গেজেটে চোখ বুলানো আমাদের অভ্যাস। এটা না পেলে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
পদাধিকারবলে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্ব এই গেজেট প্রকাশ করা। এর জন্য লালবাজারে সেন্ট্রাল লকআপের পাশে নিজস্ব প্রেস সেকশন আছে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, করোনার জেরে কাজের চাপ অনেকটা কম। তাই আপাতত ঠিক হয়েছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন গেজেট প্রকাশিত হবে।