বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ঠিক রাখছেন যাঁরা, তাঁদের বিশেষ উৎসাহ ভাতা দেবে বিধাননগর পুরসভা। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানালেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তিনি বলেন সাফাইকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও জল সরবরাহের কাজের সঙ্গে জড়িত কর্মী, অ্যাম্বুলেন্সের চালক— সকলেই এই দিনগুলিতে কাজ করার জন্য প্রত্যেকদিনের দ্বিগুণ বেতন পাবেন। তাঁরা এই সময় বিপদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে, অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁদের উৎসাহ দিতেই পুরসভার জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত যাঁরা প্রত্যেকদিনের বেতন ভিত্তিতে কাজ করেন, তাঁদের জন্যই এই পরিকল্পনা। এদিকে, এছাড়াও এলাকাকে জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য (৪১টি ওয়ার্ড) একটি করে বিশেষ স্প্রে মেশিনযুক্ত গাড়ি কেনা হবে। পাশাপাশি ওয়ার্ডপিছু জীবাণুনাশকের পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে দুটি গাড়ি এবং দমকলের একটি গাড়ি সল্টলেক এবং রাজারহাট-গোপালপুরের দিকে এই কাজ করছে। এছাড়াও পিঠে মেশিন নিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুনাশক ছরানো হচ্ছে। কিন্তু পায়ে হেঁটে তা বেশি জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত। এগুলি টোটো হলগাড়ির মতো। সামনে চালক এবং যিনি স্প্রে করবেন তাঁরা বসবেন। পিছনে জীবাণুনাশক ভর্তি ট্যাঙ্ক থাকবে। এতে কম সময়ে বেশি জায়গা জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা সম্ভব। পুরসভা সূত্রের দাবি, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক তাদের সিএসআর ফান্ডের মাধ্যমে ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য এই বিশেষ স্প্রে মেশিন গাড়ি কিনতে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। সব ঠিক থাকলে সোমবারের মধ্যে এই গাড়ি সব ওয়ার্ডে চলে যাবে। এছাড়া আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হল। অন্যদিকে, মেয়র আরও জানিয়েছেন, যাঁরা রাস্তায় সর্বক্ষণ কাজ করছেন, তাঁদের জন্য আরও মাস্ক, গ্লাভস, সাবান আনা হচ্ছে। এলাকার আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫৫ কুইন্টাল চাল দেওয়া হয়েছিল বিধাননগর পুর এলাকায়। আরও ৫০ কুইন্টাল রাজ্য দিচ্ছে বলে তিনি জানান। এছাড়া সল্টলেক এবং সেক্টর ফাইভে থেকে যাওয়া ভিন রাজ্যের ১৪ জন শ্রমিকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন ভবঘুরে, ভিখারি সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে খাবার দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।
