গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লকডাউন ঘোষিত হওয়ার সময় থেকে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় চাকলা লোকনাথ মন্দিরে ভক্ত সমাগম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়ম-রীতি মেনে মন্দিরের ভিতর পুজোর কাজ চলছে। মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের অন্যান্য দিনে দু’-তিন হাজার ভক্তের সমাগম হয়। আর ছুটির দিনে সেই সংখ্যা হাজার পাঁচেকে হয়ে যায়। লোকনাথের তিরোধান দিবস এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে ভক্ত সমাগম হয় লক্ষাধিক। প্রতিমাসে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা আয় হয় বলে জানান মন্দির কমিটির সভাপতি দেবপ্রসাদ সরকার। তাঁর বক্তব্য, লকডাউনের সময় থেকে মন্দির বন্ধ। ভক্তদের আসা-যাওয়া নেই। ফলে আয়ের রাস্তাও বন্ধ। ডোনেশনও আসছে না। রাঁধুনি, তাঁর সহযোগী, নিরাপত্তারক্ষী সহ মন্দিরে মোট ৯৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। চলতি মাসেই মন্দিরের কোষাগার থেকে কর্মচারীদের বেতন দিতে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। দেবপ্রসাদবাবুর আশঙ্কা, ভবিষ্যতে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে না তো! মন্দিরে যে ভোগ বিতরণ হয়, তা টাকা দিয়ে কিনে নেন ভক্তরা। আবার মন্দিরে কুপন কেটে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পোলাও ভোগ ৬৫ টাকা। পার্সেল নিলে ৭০ টাকা। খিচুড়ি ভোগের কুপন ২৫ টাকা। আর পার্সেল ৪০ টাকা। এছাড়াও পুজোর দক্ষিণা ও ডোনেশন রয়েছে।
ইতিমধ্যেই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ৫০০ জনের হাতে চাল, আলু সহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে কোনও ডোনেশন না আসায় এই চাল-আলুর খরচ কমিটির সদস্যরাই বহন করেছেন। প্রতি বছর ১৯ জ্যৈষ্ঠ চাকলা মন্দিরে উৎসবের আয়োজন হয়। তিনদিন ধরে চলে উৎসব। এবছর সেই উৎসব কতটা সফলভাবে করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত মন্দির কমিটি। তাঁরা জানিয়েছেন, লকডাউন উঠলে ওই উৎসব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।