প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞ সমীক্ষক সংস্থা পোস্তা উড়ালপুলের পিলার, গার্ডার এবং সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার পর ঠিক হবে সেটি রাখা হবে, না ভেঙে ফেলা হবে। বিষয়টি মাস তিনেকের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে কেএমডিএ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, পোস্তা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টেন্ডার ডেকেছিল কেএমডিএ। তাতে দু’টি বিশেষজ্ঞ সমীক্ষক সংস্থা আবেদন করে। অর্থদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডারে তিনটে আবেদন জমা পড়তে হয়, না-হলে টেন্ডারটি বাতিল হয়। এক্ষেত্রে মাত্র দু’টি আবেদন জমা পড়ায়, অর্থদপ্তর থেকে বিশেষ অনুমতি নেয় কেএমডিএ। তবে দু’টি সংস্থাই কলকাতায় অন্য উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ করেছে, ফলে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেএমডিএ সূত্রের খবর, সেতুটি নতুনভাবে গড়ে তোলা গেলেই সব থেকে ভালো। কারণ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে মানিকতলা হয়ে, বিডন স্ট্রিট পর্যন্ত নতুন একটি উড়ালপুলের পরিকল্পনা করছে। সেক্ষেত্রে বিবেকানন্দ সেতুর সঙ্গে তা জুড়ে যাওয়া হবে। তবে তার সবটাই নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মতামতের উপর। এর আগে খড়্গপুর আইআইটি সমীক্ষা করে সেতু ভাঙা হবে, না রেখে দেওয়া হবে— তা নিয়ে পরিষ্কার না বলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মুখ্যসচিব নেতৃত্বাধীন কমিটি। লকডাউন উঠে গেলে সংস্থা মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এর আগে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত কোনও সংস্থাই সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি। ব্রিজটি মেরামত করলে হবে, নাকি পুরো ভেঙে ফেলতে হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি তারা। সেজন্য নতুন করে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে। তারা সবটা খতিয়ে দেখে হেলথ সেফটি সার্টিফিকেট দেবে। সেই মতো উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ মেরামত করে কী ভাবে আবার চালু করা যায়, তার জন্য পদক্ষপ করা হবে বা ভেঙে ফেলার মতামত দিলে তাই করা হবে। অবশ্য এলাকার বাসিন্দারা চান, উড়ালপুল ভেঙে ফেলা হোক। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ উড়ালপুল ভেঙে পড়ে ২৮ জন মারা গিয়েছিলেন ও বহু মানুষ জখম হয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের বিপর্যয় সরকারের কাছে অস্বস্তির। কারণ, চার বছর কেটে গেলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। ফলে আসন্ন পুরভোটে বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। তাই পুরভোটের আগেই কাঁটা তুলে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের যে অংশটি এখনও অক্ষত রয়েছে, তার ভারবহন ক্ষমতা কতটা এবং গাড়ি চলাচলের উপযোগী আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখবেন সমীক্ষকরা। কোনও অংশ দুর্বল হয়ে গেলে সেটাকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেবেন তাঁরা।