পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিন্তু, কেন এরকম হচ্ছে? বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সল্টলেক এবং রাজারহাট-গোপালপুর অংশে পুলিসি নজরদারি ঢিলেঢালা হওয়াতেই রাস্তার ভিড় কিছুতেই কমছে না। অহেতুক রাস্তায় ঘোরাঘুরি কমাতে কলকাতা পুলিস যেখানে কড়া হাতে ধরপাকড় চালাচ্ছে, সেখানে বিধাননগর কমিশনারেটের ভূমিকা যথাযথ হচ্ছে না। যদিও কমিশনারেটের পুলিসকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাঁদের দাবি, গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার মোট ১৬ জনকে কোনও কারণ ছাড়া সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাস্তায় ঘোরার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। আটটি গাড়ি ও বাইক বাজেয়াপ্ত করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবারও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও পুলিসের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলেই অভিযোগ। উল্লেখ্য সম্প্রতি পুরসভার করোনা টাস্ক ফোর্সের বৈঠকেও এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে পুলিসের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না আনা হলেও, রাস্তায় অহেতুক জমায়েত হওয়ার কথা সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন। বিশেষ করে বাজার এলাকায় পুলিসের নজর এড়িয়ে এখনও চায়ের দোকানের বৈঠকী আড্ডা বা অন্যরকম ভিড় হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মানুষকে আরও সচেতন করতে আগামী গোটা সপ্তাহ জুড়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউন্সিলারদের প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, সল্টলেক খালপাড়ের সব ব্লক ছাড়াও নারায়ণপুর, পূর্ব নারায়ণতলা, কেষ্টপুর, হাতিয়াড়া, জগৎপুর প্রভৃতি জায়গায় বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও নিউটাউন-রাজারহাটের পঞ্চায়েত এলাকাতেও পুলিসি নজরদারি আরও বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে।