নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জলের অপচয় বন্ধে বারবার কলকাতা পুর প্রশাসনের তরফে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, শহরের বেশ কিছু অংশে জলের অপচয়ের মাত্রা আগের মতোই রয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে গ্রীষ্মকাল পড়ে যাবে।
বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’জন গৃহ পরিচারিকা সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এই নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ-উত্তেজনা দেখা দিতেই শেষমেশ তাঁদের ঘরবন্দি করে রাখতে পাহারায় বসলেন খোদ এলাকার কাউন্সিলার। এঁদের মধ্যে এক পরিচারিকা জ্বর-সর্দির উপসর্গ নিয়ে কয়েকদিন আগে দেখাতে এসেছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তাঁকে ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। অন্য এক পরিচারিকা কাজ করছিলেন করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে। তিন দিন ধরে যাঁর খোঁজ মিলছিল না। দু’জনেই যেখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। শেষমেশ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁদের দু’জনকে নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকজন নিয়ে যান। শুক্রবার থেকেই এনিয়ে উত্তপ্ত ছিল বাইপাস সংলগ্ন দত্তাবাদ এলাকা। আইডি হাসপাতাল থেকে যাঁকে বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দিয়েছিল, তিনি বাড়িতে না থাকায় এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। শনিবার সেই ঘটনাকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয় এলাকা। সেই সঙ্গে কাউন্সিলারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। করুণাময়ী এলাকার এক বাসিন্দার করোনা ধরা পড়েছিল দু’দিন আগে। তাঁর বাড়ির পরিচারিকাকে গত ৪৮ ঘণ্টা করে খুঁজছিল পুলিস, পুরসভা। অবশেষে শনিবার সকালে তাঁকেও দত্তাবাদ এলাকাতেই খুঁজে বের করেন স্থানীয়রা। সরকারি নির্দেশ মতো তাঁরও ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। কিন্তু, এদিন সকালেও তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে এলাকায় যত্রতত্র ঘুরতে দেখা যায়। এরপরেই বাসিন্দারা কাউন্সিলারকে খবর দেন। ঘটনাচক্রে আগে হাসপাতাল থেকে যাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল এবং এই করোনা আক্রান্তের বাড়িতে কাজ করা পরিচারিকা দু’জনের বাড়ির দূরত্ব একবারেই কম। একই পাড়ায় খুব কাছাকাছিতে তাঁরা থাকেন। এই অবস্থায় এলাকার বাসিন্দারা মারাত্মক আতঙ্কিত। স্থানীয় কাউন্সিলার নির্মল দত্ত বলেন, বাসিন্দারা বারবার তাঁর কাছে অভিযোগ করছেন। এই অবস্থায় তিনি গোটা বিষয়টি পুরসভাকে জানান। কিন্তু কোনও উত্তর না পেয়ে কাউন্সিলার নিজেই ওই দু’জনের বাইরে পাহারা দেওয়া শুরু করে দেন। নির্মলবাবু জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত তিনি ওই দু’জনের বাড়ির বাইরে পাহারা দেন, যাতে তাঁরা বাড়ির বাইরে কেউ না বের হন। এরপরে ফের বিকেল ৪টে থেকে তিনি সেখানেই পাহারা দেন। সন্ধ্যায় পুরসভার এক কর্তা তাঁকে ফোন করে জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে। যদিও বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলার সরকারি নির্দেশ কেউ না মানলে, তাঁকে প্রয়োজনে নিউটাউন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে সরকার জানিয়েছে। তবে দত্তাবাদের ক্ষেত্রে গোটা বিষয়ে এত বিলম্ব হওয়ায় এলাকায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
