নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জলের অপচয় বন্ধে বারবার কলকাতা পুর প্রশাসনের তরফে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, শহরের বেশ কিছু অংশে জলের অপচয়ের মাত্রা আগের মতোই রয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে গ্রীষ্মকাল পড়ে যাবে।
বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বিএনএ, চুঁচুড়া: হুগলি জেলায় করোনা পরিস্থিতির উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার আইসোলেশনে থাকা ৫৩ জন মানুষের জন্যে ৪৮ জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৫ জনকে বর্তমানে আইসোলেশানে রাখা হয়েছে। একইভাবে ৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ৪২ জন সন্দেহভাজনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র দু’জনের নমুনা পজেটিভ এসেছে। এই দু’জনই শ্যাওড়াফুলির প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মীয়। ছ’টি ক্ষেত্রে পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও জেলায় এসে পৌঁছয়নি। অর্থাৎ পজিটিভ হওয়ার হার মাত্র ৫ শতাংশ। তবে শেওড়াফুলির ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবারসহ ১৬ জনকে সিঙ্গুরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাড়িতে বিশেষ নজরদারিতে কোয়ারেন্টাইন হয়ে আছেন ১৯ হাজার ৭০০ জন। মৃত্যুর কোনও ঘটনা জেলায় যেমন ঘটেনি, তেমনি গত ১ এপ্রিলের পরে জেলায় নতুন করে কেউ সংক্রামিত হননি। জেলার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরিস্থিতি খুবই আশাব্যঞ্জক। রাজ্যের কম্যুনিটি মেডিসিনের প্রাক্তন শিক্ষক চিকিৎসক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, যে রোগ সামাজিক যোগাযোগের হাত ধরে ছড়ায় সেই রোগের ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিসংখ্যান খুবই ইতিবাচক। তবে বাসিন্দাদের আরও সতর্কতাই এই রোগকে পুরোপুরি নাশ করতে পারে, সেই সত্য মনে রাখতে হবে। আর এই সতর্কতার প্রশ্নেই জেলা জুড়ে নিবিড় প্রচারে চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পুলিস। জেলায় করোনা সংক্রমণ রুখে দিতে মানুষের কাছে জমায়েত না করার আবেদন প্রতিদিনই বাড়ানো হচ্ছে। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করার কাজ করেই যাচ্ছি। এটাই একমাত্র পথ জেলাকে নিরাপদ রাখার।
