গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নিজের হাতে তাঁদের খাবার তুলে দিয়েছেন। তবে জোরকদমে চলছে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ। এখন আর তিনটে স্ল্যাব ভাঙা বাকি। আর তার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ এপ্রিল। যেহেতু ভাঙার ক্ষেত্রে বেশি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই লকডাউনের মধ্যে কাজ করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। টালা ব্রিজ ভাঙতে পূর্ত দপ্তরের খরচ হয়েছে ২২ কোটি টাকা। ভাঙার কাজ শেষ হয়ে গেলে এবং লকডাউন উঠে গেলে নতুন করে টালা ব্রিজ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে থমকে গিয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ। সেখানে শ্রমিকের অভাব থাকায় আপাতত বন্ধ বলে পূর্ত দপ্তর সূত্রের খবর। লকডাউন মিটলে সেই কাজ পুরোদমে শুরু হবে। রেলের কাছ থেকে অনুমতি পেতে সময় বেশি লাগায় মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করা যায়নি বলে পূর্ত দপ্তরের কর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন। বর্তমানে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাও শেষ করা যাবে না বলে ইঞ্জিনিয়াররা মনে করছেন।
অন্যদিকে, যেহেতু এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সব জায়গায়, সেই কারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পূর্ত দপ্তর এখন ব্যস্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে। যে দপ্তরের উপর দায়িত্ব থাকে রাস্তা এবং ব্রিজ সারাই করার, তাদেরই কাজ এখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে যেখানে যেখানে চিকিৎসা চলছে, সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিকাঠামোর কাজ তৈরি করাই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে চলছে আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির কাজ। পূর্ত দপ্তরের এই কাজই এখন অত্যন্ত অগ্রাধিকার। নবান্নের নির্দেশে জেলায় জেলায় এই পরিকাঠামো গড়ে তুলছে পূর্ত দপ্তর। তবে অর্থের অভাব থাকায় নতুন করে কোনও প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই হাসপাতালের পাশাপাশি পুরনো কাজ শেষ করাই এখন লক্ষ্য পূর্ত দপ্তরের।
লকডাউন এর ফলে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ বলা যেতেই পারে একেবারেই বিশবাঁও জলে। যদিও মাঝেরহাট ব্রিজের কাজের জন্য আগেই কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি থেকে অনুমতি চলে এসেছিল এবং কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল, দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু হঠাৎই করোনার থাবায় সবকিছুই এখন থমকে পড়েছে। তবে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাবাদী পূর্ত দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, লকডাউন চলায় কাজের ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা হচ্ছে, যান যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। রেলকে ১২ কোটি টাকা দিয়ে নতুন লেভেল ক্রসিং করলেও এই মুহূর্তে তা কোনও কাজে লাগছে না। তবে নতুন ব্রিজ তৈরি করার সময় লেভেল ক্রসিং আবার কাজে লাগবে বলে আধিকারিকরা মনে করেন।