বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মেরেকেটে সাড়ে ৩০০ পরিবারের বাস। শহর কলকাতার মধ্যেও তাঁরা নিজেদের আলাদা করে গুছিয়ে রেখেছেন। প্রত্যেকটি পরিবারই কমবেশি বর্ধিষ্ণু। ফলে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার অবকাশ নেই। লকডাউনের জেরে বাইরে বেরনোর জো নেই। ফলে বয়স্কদের সমস্যা হলে এলাকার লোকজনই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসছেন। নিজেদের মধ্যে এক অদৃশ্য ভালোবাসার বাঁধনে জড়িয়ে এই সাড়ে ৩০০ পরিবার। কমবেশি প্রায় ৭০০-৮০০ মানুষের বসবাস। এঁদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, প্রায় ৫০ শতাংশ, ২০ শতাংশ চীনা এবং বাকি ৩০ শতাংশ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী।
তবে, এখানেও চিন্তার ভাঁজ রয়েছে স্থানীয়দের কপালে। কারণ প্রায় ৭০টি পরিবারের ছেলে-মেয়ে কিংবা নিকটাত্মীয়রা বিদেশে থাকেন। কেউ কানাডা, কেউ অস্ট্রেলিয়া, কেউ আবার আমেরিকা কিংবা লন্ডন।
তাই কাছের মানুষের জন্য স্বাভাবিকভাবেই মন কাঁদে বো বারাকের। সেভিল, থমাস, গোমস কিংবা বস্কো পরিবারের অনেকেই ভিনদেশি। হঠাৎ লকডাউনের জেরে বিদেশ থেকে ঘরে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তাই চিন্তা তো হবেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক ধরনের খারাপ খবর মিলছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা হয়, বলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ফেলিক্স অগাস্টিন। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও চ্যাটিং, ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে চলছে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর। বিদেশে থাকা কোনও পরিজনের এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি বলেই কিছুটা নিশ্চিন্তে রয়েছে বো বারাক। কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিস সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের খোঁজখবর নিয়ে এসেছে। বউবাজার থানার অন্তর্গত এই কলোনির পরিচিতি যথেষ্ট। চারদিকের ঝড়-ঝাপটার মধ্যে করোনা নিয়ে চিন্তা থাকলেও ‘ভয়’ নেই এখানে। হাতে হাত রেখে সারিবদ্ধভাবে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ‘উই শ্যাল ওভারকাম’-এ দুশ্চিন্তা ফুৎকারে উড়িয়ে জীবনের গান গাইছে বো বারাক। একটাই আশা, সঙ্গে অপেক্ষাও। সব মিটে গেলে ফের ঘরে ফিরবে প্রিয়জনরা।