কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) নিয়ম মেনে পাঠ্যক্রম সহ অন্যান্য নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৮-’১৯ সাল থেকে তা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও নয়া পরীক্ষা বিধি তৈরি করে উঠতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এ নিয়ে কাজ শুরু করল তারা। বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অনুমোদিত এগজাম রিফর্মস কমিটি একাধিক প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে হাজিরায় পাঁচ নম্বর বরাদ্দ করা হবে। প্রতিটি সেমেস্টারে বিষয় পিছু থাকবে এই নম্বর। এক আধিকারিক বলেন, অনেকেই ক্লাস করেন না। পরীক্ষার সময় এসে নানা অজুহাত দেখান। পর্যাপ্ত হাজিরা না থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারেন না অনেকে। তাই এতে নম্বর বরাদ্দ করে পড়ুয়াদের ক্লাসমুখী করার প্রয়াস নেওয়া হবে।
এতদিন প্র্যাক্টিক্যাল ও লিখিত মিলিয়ে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হলেও, পরীক্ষার্থীদের আলাদা করে দু’টিতেই পাশ করতে হতো। ধরা যাক, প্র্যাক্টিক্যালে ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষায় ৭০ নম্বর বরাদ্দ আছে। এক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষার্থীকে পাশ করতে হলে দুটি পরীক্ষাতেই আলাদা আলাদাভাবে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। এবার সেই নিয়মেই বদল আনতে চাইছে কমিটি। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, এবার দুটি পরীক্ষা মিলিয়েই ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। অর্থাৎ, কাউকে পৃথকভাবে দু’টি ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর তুলতে হবে না। এমন পরিবর্তন নিয়ে কমিটির ব্যাখ্যা, অনেকেই আলাদা আলাদাভাবে দু’টিতে পাশ করতে পারতেন না। ফলে অনুত্তীর্ণ পেপারের সংখ্যা বেড়ে যেত। দু’টি মিলিয়ে পাশ করা তুলনায় অনেকটা সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রথম বর্ষে অভিন্ন সিলেবাসের উপর পরীক্ষা দেন পড়ুয়ারা। তাতে ছ’টি পেপার থাকে। এতদিন কেউ ছ’টি পেপারে ফেল করলেও তাঁকে পরের বর্ষে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার সময় সেই অনুত্তীর্ণ পেপারগুলির পরীক্ষা দিতেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া। কিন্তু এই নিয়ম বদলের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিটি। তারা চাইছে, প্রথম বর্ষে অন্তত তিনটি পেপারে পাশ করতেই হবে পরীক্ষার্থীদের। নাহলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে পরের বর্ষে উত্তীর্ণ করা হবে না। কমিটির মতে, এতে বোঝা কম হবে ছাত্রছাত্রীদের। এই প্রস্তাবের উপর পড়ুয়াদের মতামত নেওয়া হবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, এ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় পুরোদমে খুললে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলে আলোচনা করা হবে।