নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের শহরে দুঃস্থ মানুষ থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতার শাসকদলের কাউন্সিলাররা। বাড়ি বাড়ি বা আবাসনের ফ্ল্যাটে গিয়ে খাবার বণ্টন করছেন তাঁরা। ভবানীপুরে তেমনই এক আবাসনের ফ্ল্যাটে খাবার দিতে গিয়ে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম বসুর লোকজন দেখেন, ভাই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর কঙ্কালসার মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছেন তাঁর দিদি। ফ্ল্যাটের ভিতরে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, দুর্গন্ধ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার মাধব চ্যাটার্জি লেনে। এদিনের এই ঘটনা রবিনসন স্ট্রিটের সেই ঘটনাকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে অসীমবাবুও সেখানে যান। তিনি থানায় খবর দিলে পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঙ্গে তাঁর দিদিকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শান্তনু দে (৪৩)। দিদির নাম মহাশ্বেতা দে (৫৪)। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সাতদিন আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যেভাবে মারা গিয়েছিলেন, সেভাবেই পড়ে রয়েছেন। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। উল্লেখ্য, এর আগে শহরে এমন ঘটনা একাধিক জায়গায় ঘটেছে। কী কারণে ওই প্রৌঢ়া এমন করলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অসীমবাবু বলেন, দলের এক কর্মী ওই পাঁচতলা আবাসনের একতলায় থাকে। আবাসনের তিনতলায় থাকা ওই দুই ভাইবোনকে প্রতিদিনই খাবার দিতে যায় দলীয় কর্মীরা। এদিন তারা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকতেই মহাশ্বেতাদেবী বেরিয়ে আসেন। দলের কর্মীরা তাঁকে বলে, খাবার যে তারা দিচ্ছে, তার একটি ছবি নিতে হবে। এই কথা বলে দু’জন ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে, শান্তনুবাবুর দেহ পড়ে রয়েছে। তীব্র দুর্গন্ধ। সারা শরীরে পচন ধরেছে। দেহ কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। তা দেখেই ওই দু’জনে ছুটে এসে আমাকে জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে যাই এবং দুর্গন্ধে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ি। এরপরই পুলিসকে খবর দিই। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই ভাইবোন তেমন কোনও কাজ করতেন না। কারও সঙ্গে মেলামেশাও করতেন না। বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।