নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: করোনা আতঙ্ক তাড়া করছে মানুষকে। তার মধ্যে শুক্রবার হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ অংশে এই গরমের মধ্যে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে রাস্তার মোড়ে বসানো নলকূপের সামনে জল ভরতে মানুষের লাইন পড়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। জল ভরতে মানুষ ঠাসাঠাসি হয়েও অপেক্ষা করেন অনেক জায়গায়। লাটে ওঠে মানুষে মানুষে দূরত্ব রাখার করোনারোধী কৌশলও। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন মধ্য হাওড়ার প্রায় সব জায়গা, উত্তর ও দক্ষিণ হাওড়ার কিছু অংশে মানুষকে পানীয় জলের জন্য রীতিমতো হাপিত্যেশ করতে হয়েছে। সন্ধ্যার দিকেও অনেক জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গিয়েছে। হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানান, টিকিয়াপাড়ায় ভূগর্ভস্থ জলাধারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। এর ফলে ওই প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সকালেই সিইএসসি’কে খবর দেওয়া হলে তাদের কর্মীরা এসে কাজ শুরু করেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর হাওড়ার ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, মধ্য হাওড়ার ১৭ থেকে ৩০ নম্বর পর্যন্ত সবক’টি ওয়ার্ড, দক্ষিণ হাওড়ার ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ (আংশিক) এবং ৩৬ (আংশিক) নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে এদিন পরিষেবা ব্যাহত হয়। কমিশনারের আশ্বাস, দ্রুত কাজ চলছে। শনিবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।  এদিকে, হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিসকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। উলুবেড়িয়া পুরসভা এবং পুলিস শহরের বেশ কিছু জায়গায় জীবাণুনাশক তরল ছড়ায়। মাইকে প্রচার করে মানুষকে লকডাউন নিয়ে সচেতন হতে আবেদন করা হয়। এদিকে, জেলায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না, কতজনকে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে—এসব বিষয়ে জেলাশাসক থেকে জেলা স্বাস্থ্যকর্তা সহ প্রশাসনিক কর্তারা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। করোনার ব্যাপারে জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানানোর থাকলে রাজ্য সরকারের বুলেটিনেই জানানো হবে।