পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারাকপুর থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, খড়দহের করোনা আক্রান্তের খবরে সেখানে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আক্রান্তের পরিবারের ছয় সদস্য সহ মোট আট জনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আতঙ্ক রয়েছে মাইকেলনগরেও। যেন তবু হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। খড়দহ পুরাতন বাজারে শুক্রবার ঠাসাঠাসি ভিড় দেখা গেল।
করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি খড়দহের বরিশাল পল্লিতে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। খড়দহ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা স্ত্রী, মেয়ে, নাতি, দাদা, বউদি, ভাইপো, গাড়ির চালক, পরিচারিকা মোট আট জনকে শুক্রবার রাজারহাট কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আর কেউ এসেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার সন্ধাতেই বরিশাল পল্লি এলাকা জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এদিন পুরো এলাকা দমকল বাহিনী এসে ফের জীবাণুনাশক স্প্রে করে। এই ঘটনার পরও কিন্তু আমজনতার সচেতনতা বাড়ছে না। লকডাউন উপেক্ষা করেই বিভিন্ন এলাকায় জটলা, আড্ডা চলছে যথারীতি। খড়দহের বাসিন্দা অঙ্কিতা দাস বলেন, পুরাতন বাজারে গাদাগাদি ভিড়। একে অপরের গায়ে পড়ে বাজার করছেন। কেউ সোশ্যাল দূরত্ব মানছেন না। কাজ ছাড়াই অনেকেই বাজারে এসে ভিড় জমিয়েছেন। ওদিকে বারাসতের খবরে জানা গিয়েছে, লকডাউন অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে বসিরহাট জেলা পুলিস মোট ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বারাসত ও বনগাঁ জেলা পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার না করলেও এলাকায় কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় জটলা ও জমায়েত অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা করতে ভিড় জমানো মানুষ স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও নিয়ম মানছেন না। গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন ধর্মস্থানে এখনও জমায়েত হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও মানুষকে সচেতন করার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া, মধ্যমগ্রামের মাইকেলনগরের বাসিন্দা তথা নাগেরবাজারের এক নার্সিংহোমের নার্স করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ওই নার্সের স্বামী ও পুত্রকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গত কয়েকদিনে এলাকার কেউ ওই নার্সের পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস ও স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই নার্স যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, শুক্রবার সেই এলাকা মধ্যমগ্রাম পুরসভার তরফে স্যানিটাইজ করা হয়। জীবানুনাশক দিয়ে পুরো এলাকা ধুইয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা, গলিপথ স্যানিটাইজ করা হয়। এলাকাবাসীকে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল নিমাই ঘোষ বলেন, এদিন মাইকেলনগর ছাড়াও আশপাশের এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পুরসভার জলের ট্যাঙ্কে জীবাণুনাশক মিশিয়ে সমস্ত এলাকা ধুইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা যশোর রোড, সোদপুর ও বাদু রোডকে স্যানিটাইজ করা হয়েছিল।