পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারাকপুরের প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কলকাতা ও শহরতলি বিভিন্ন এলাকার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মরত। লকডাউনের জেরে তাঁরা বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি তরফে একটি বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাতে সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত সম্ভব হচ্ছিল না। হাসপাতালের সুপার পানিহাটি সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশনকে অনুরোধ করেন স্কুল বাস দেওয়ার জন্য। তাতে এককথায় রাজি হয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বেসরকারি স্কুলের পরিচালন সমিতির এগজিটিউটিভ সদস্য সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতালের সুপার বাসের তেলখরচ, বাসকর্মীদের মজুরি দিতে চেয়েছিলেন। আমরা না করেছি। পুরোপুরি ফ্রি পরিষেবা দিচ্ছি। হাসপাতালের সুপার ডাঃ পলাশ দাস বলেন, আমরা খুব বিপদে পড়েছিলাম। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল। এখন কারও যাতায়াতে কোনও সমস্যা নেই। রবিবারও বারকপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে খাবার বণ্টন করা হয়েছে। কোথাও কোথাও চাল, ডাল, আবার কোথাও রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। বারাসত থেকে প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, লকডাউনের আবহে স্থানীয় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়াই শুধু নয়, খাবার না পাওয়া পথ কুকুরদেরও খাওয়াচ্ছে পুলিস। শনিবার রাত থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে রাস্তার ভবঘুরে ও কুকুরদের খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিস। বসিরহাট, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর সহ বিভিন্ন থানায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বারাসত পুলিস জেলার তরফেও নতুন ব্যাগ ভর্তি করে বিস্কুট, আলু, তেল,চাল ও ডাল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। হাবড়া সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্লাবের সদস্যদের নিয়েও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে লকডাউন ঘোষণার সময় জেলার বিভিন্ন বাজারে জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য হুড়োহুড়ির ছবি অনেকটাই কমে এসেছে। তবে এখনও জেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরো বাজারে ভিড় হচ্ছে। ওই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে বোঝানোর রাস্তায় হাঁটছে পুলিস ও প্রশাসন। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, জেলায় খাদ্য সংকট নেই। পুলিস ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ও আমাদের কর্মীরা অসহায় মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। হাবড়ায় প্রতিদিন ৪৫০ জন মানুষের জন্য রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জেলা হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেও কেউ ভর্তি নেই। হাবড়ার করোনা আক্রান্ত ছাত্রীও সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর কিছু দিন লকডাউন সঠিকভাবে মেনে চললে করোনাকে হারানোর লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব।