গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধ্যায় করোনা সংক্রমণে মৃত তিনজনের মৃতদেহ সৎকারের প্রস্তুতি নিয়ে ধাপা শ্মশানে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সন্ধ্যায় সৎকার করা যায়নি করোনা সংক্রমণে মৃত তিনজনের দেহ। সাধনবাবুর দেহ জেনিথ থেকে পরে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গভীর রাতে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস এবং সার্ভে পার্ক থানার পুলিস ধাপা শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন হতে থাকে। লালবাজার থেকেও বিশাল পুলিসবাহিনী আসে। যা জানতে পেরে এলাকার বিপুল জনতা লাঠি-বালতি-রড নিয়ে জমায়েত হতে থাকে। এরপরই এনআরএস হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে গাড়ি ধাপায় ঢুকতে গেলে শুরু হয় চরম বিক্ষোভ। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিস। ইটবৃষ্টি শুরু হয়, তাতে পুলিসের দু’টি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পরিস্থিতি আরও বেগতিক হচ্ছে দেখে পুলিস লাঠি নিয়ে তাড়া করে এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও বাসিন্দারা পাল্টা ইটবৃষ্টি চালিয়ে যেতে থাকে। এই পরিস্থিতির মধ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির দেহ ধাপা শ্মশানের চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, শ্মশানেও সংক্রণের ভয়ে অনেকে সৎকারে রাজি ছিলেন না। পরে তাঁদের বুঝিয়ে সৎকারের প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার পুরভবনে বৈঠকের পর বলেন, একজনের দেহ চুল্লির আট-দশ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঢুকে গেলে, তার মধ্যে থেকে আর ভাইরাস ছড়ায় না। এব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি গাইডলাইন দিয়েছে, সেটিও প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিয়েছি।