পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ক্রেতাদের বাজারে ঢোকার সময়ে পাশে রাখা বেসিনে হাত পরিষ্কার করেই সেখানে প্রবেশ করতে হচ্ছে। ক্রেতার হাতে তরল সাবান দিয়ে দিচ্ছেন মাস্ক পরা কর্মী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিস। ক্রেতাদের অবশ্য পাশাপাশি বা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে নয়। এক মিটার দূরত্বে প্রত্যেককে দাঁড়াতে হয়েছে। একজনের শেষ হলেই অপরজন বেসিনের সামনে আসছেন। এই গোটা উদ্যোগে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। তাঁদের কথায়, আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে করোনাও দূর হবে না, লকডাউনও উঠবে না। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এভাবে সচেতন থানা অত্যন্ত জরুরি। এলাকার কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, এই বেসিনটি তৈরির প্রয়োজন ছিল। কারণ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বেসিনে হাত ধুয়ে বাজারে ঢুকবেন। বাজারের মধ্যেও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে খোদ রাস্তায় নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রেতারা যাতে এক মিটার দূরত্বে দাঁড়ান, সে জন্য জানবাজার মার্কেটে ইটের টুকরো দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেও শহরের একাধিক বাজারে উপচে পড়া ভিড় বা ঠেলাঠেলি করে ক্রেতাদের সব্জি-মাছ-মাংস কিনতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই দু’টি বাজারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম চিত্রই ধরা পড়েছে। বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির কথায়, কলকাতায় এমন উদ্যোগ প্রতিটি বাজারের ক্ষেত্রে নেওয়া যদি যায়, তাহলে খুবই ভালো হয়। কারণ বাজারের ভিতরে বহু লোকের আনাগোনা। সেখানে প্রবেশের মুখে পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত ভালো উদ্বেগ।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি তো বরাবরই বলে আসছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ নোভেল করোনা ভাইরাসকে হারাতে এই দূরত্বই আমাদের সাহায্য করবে। রামগড় এবং পাটুলি বাজারে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে সেখানকার মানুষও বিপম্মুক্ত থাকবেন বলেই আমি মনে করি। শহরের ৩৮০টি বেসরকারি বাজার এবং পুরসভার অধীনে ৪৬টি বাজার রয়েছে। সেগুলির অবশ্য সবক’টিতে এই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগের কর্তারা। তবে যে বাজারগুলিতে লোকজনের আনাগোনা সব থেকে বেশি, সেখানে অস্থায়ী এই উগ্যোগ নেওয়া যেতেই পারে বলে দাবি তাঁদের।- নিজস্ব চিত্র