কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাওড়ার কালীবাবুর বাজার, কদমতলা বাজার, হরগঞ্জ বাজারে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। মোড়ের মাথায় চায়ের দোকানও এদিন খুলেছে অনেক জায়গায়। সালকিয়ার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্তী বলেন, মানুষ এখনও যথেষ্ট সচেতন নয় বলেই এভাবে দরকার ছাড়াও বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যে সময়টায় ঘরের ভিতরে থাকা সবচেয়ে বেশি দরকার, তখন সব বাইরে বেরিয়ে আসছে। বিপর্যয় থেকে কেউ আর বাঁচাতে পারবে না মনে হয়। উলুবেড়িয়াতেও সকাল থেকে রেশন দোকানের সামনে তো বটেই, অন্যান্য দোকানের সামনে ভিড় দেখা যায়। রাস্তায় যথেচ্ছ যান চলাচলও করেছে উলুবেড়িয়া এবং সংলগ্ন এলাকায়। তবে পুলিসি নজরদারি যে কোনওভাবে শিথিল করা হয়নি, সেই দাবি করেন হাওড়া পুলিসের ডিসি (সদর) প্রিয়ব্রত রায়। তিনি বলেন, লকডাউন জারি রাখতে পুলিস আগের মতোই কাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাওড়া জেলার কারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায়নি জেলা প্রশাসন।
চুঁচুড়া থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের সংক্রমণের উৎসের খোঁজে এখনও মেলেনি। এর জেরে সামাজিকভাবে (তৃতীয় স্তরের সংক্রমণ) করোনার ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সেখানেই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমজনতার অসতর্কমূলক নানা আচরণ। পুলিশ এবং প্রশাসনের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও বাজার থেকে চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান, মুদিখানার দোকানে আমজনতার জটলা বাড়ছেই। জেলায় তিন তিনজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলার পরেও যেভাবে মানুষ কাতারে কাতারে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন, তা উদ্বেগে রেখেছে প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার তারকেশ্বর থেকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাসিন্দাদের জটলা করতে দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে বৃহস্পতিবার নজরদারি শুরু করেছে হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভা। অন্যদিকে র্যাফ নামিয়ে জনতাকে ঘরে থাকার জন্য আবেদন জানাতে শুরু করেছে পুলিশ। উত্তরপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, যান্ত্রিক নজরদারির মধ্যে দিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানোই মুখ্য উদ্দেশ্য। এতে অসচেতন মানুষের কাছেও একটি বার্তা যাবে বলে আমরা মনে করি।
এদিকে, করোনা আক্রান্তের পরিবার এবং তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা ১১ জনকে আইসোলেশন থেকে সিঙ্গুরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগেই চার জন চিকিৎসককে রাখা হয়েছিল। শেওড়াফুলির প্রৌঢ়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ওই ১১ জনের প্রাথমিক করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেতিবাচক হলেও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার জন্য তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। হুগলি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে সমস্ত রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে ধারাবাহিক প্রচার করা হচ্ছে।