বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিল্লির ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানকারীদের নিয়ে দেশ তোলপাড়। কাঁকিনাড়া থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দুই জন। এই দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা আট জন, অর্থাৎ মোট দশজনকে নিউটাউনে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল। এই ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কাঁকিনাড়ার বাসিন্দারা বলেন, দিল্লি থেকে ফেরার পর এই দু’জনে বাড়িতে স্বেচ্ছাবন্দি ছিলেন না। দুজনে করোনা পজিটিভ হলে অনেকেই সংক্রমিত হতে পারেন।
এদিকে, জগদ্দলের গোলঘর এলাকার একটি লজে আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। অন্যদিকে, দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির খোঁজ মিলল বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার নেহালপুর গ্রামে। গত ৮ই মার্চ তিনি দিল্লি থেকে ফিরে হুগলির পাণ্ডুয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে ১৭ই মার্চ কলকাতায় আসেন। মঙ্গলবার সেখান থেকে তিনি বসিরহাটের নেহালপুরে তাঁর বাড়িতে ফেরেন। নিজামুদ্দিন ফেরত ব্যক্তিদের সরকার খোঁজ করছে জানতে পেরে তিনি বুধবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আসেন। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর বসিরহাট থানার মেরুদণ্ডী কর্মতীর্থের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁকে রাখা হয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথার মত কোন উপসর্গ এই মুহূর্তে তাঁর নেই বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির গ্রামে ফিরে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেহালপুরবাসীর প্রশ্ন, গ্রামে ফিরে সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন সন্মানীয় ব্যক্তি কেন বাড়িতে থাকা মুরগির পোলট্রি ফার্মে থাকতে শুরু করলেন? আইসোলেশনে না থেকে কেন তিনি নামাজ পড়তে গেলেন? গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, গত ১৭ই মার্চ থেকে তিনি নাকি রাজারহাটে থাকা হজহাউসে ছিলেন। সেখানে নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা অন্যান্যদের সঙ্গে তারও শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেখানে ক’দিন থাকার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামে ফিরে সোজা চলে যান নেহালপুর মসজিদে নামাজ পড়তে। এরপর শুরু হয় আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের তৎপরতা। খবর যায় বসিরহাট জেলা পুলিস সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও বসিরহাট মহকুমা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। পুলিস এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎতপরতায় বুধবার ওই ব্যক্তিকে এনে রাখা হয় মেরুদন্ডী কর্মতীর্থের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ওই ব্যক্তি ছাড়া আর কোন ব্যক্তি গিয়েছিলেন দিল্লির নিজামুদ্দিনে? পুলিস তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা একজন ব্যক্তি বসিরহাটে এদিন পর্যন্ত ফেরেননি। বসিরহাট-২ ব্লকের নেহালপু্রের এই ঘটনায় আতঙ্কিত সেখানকার আপামর সাধারণ মানুষ।