রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এক কর্তার কথায়, ‘বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাসিন্দারা অতি সক্রিয় হয়ে কিছু লোককে নিয়ে শোরগোল ফেলে দিচ্ছেন। তাঁদের করোনা-হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হচ্ছে। তবে এ সব নিয়ে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা বা অশান্তি তৈরি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখছি।’ করোনা নিয়ে আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কারো ঘনঘন হাঁচি বা কাশি হলেই প্রতিবেশীরা থানায় ফোন করছেন। এক পুলিস অফিসারের কথায়, ‘এতদিন থানার ফোন তুলে চুরি হওয়া, বাড়িতে ডাকাত পড়ার কথাই শুনে এসেছি। এখন ফোন করে লোকে বলছে, অমুকে খুব কাশছে, করোনা হতে পারে স্যার। ধরে নিয়ে যান।’ আবার পুলিসের পৌঁছতে খানিকটা দেরি হলে এলাকার বাসিন্দাদের কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখিও শুরু করে দিচ্ছেন। খানিকটা বিরক্ত হয়েই ওই অফিসারের বক্তব্য, ‘যেতেও হচ্ছে। না হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়ে যাচ্ছে।’
বিদেশ ফেরতরা সরকারি নির্দেশ মানছেন কি না, সে দিকে পুলিস নজর রাখছে। তবে অনেক প্রবাসীর বয়স্ক মা-বাবা বাড়িতে একা থাকেন। এমন অনেকেই পুলিসকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের আশ্বস্ত করেছে পুলিস। বিভিন্ন জেলার পুলিস হেডকোয়ার্টার্স থেকে জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েকদিনে বিভিন্ন থানায় গোটা ত্রিশেক এই ধরনের ফোন এসেছে।
অফিসারদের বক্তব্য, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফোনে যোগাযোগ করে ‘সন্দেহভাজন’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। যদি দেখা যায়, সত্যিই তিনি বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তাঁকে ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি আইসোলেশনে থাকছেন কি না, সেই ব্যাপারেও খোঁজখবর করা হচ্ছে। যিনি ফোন করছেন, তাঁর সম্পর্কে তথ্য নিয়ে রাখা হচ্ছে। বিদেশ থেকে ফেরার তথ্য থানায় এলে তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে হেড কোয়ার্টার্সকে। তা যাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরে।