নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও বিএনএ, বারাকপুর: সল্টলেকে করোনা আক্রান্তের তিন ঘনিষ্ঠকে নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইনে এবং প্রায় আরও দশজনকে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিল বিধাননগর পুরসভা তথা স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে ওই করোনা আক্রান্তের সম্প্রতি বিদেশ বা দেশের অন্য কোথাও যাওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে আরও খোঁজখবর চলছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় বলেন, ওই আক্রান্ত রোগীর গাড়ির চালক, সর্বক্ষণের পরিচারক এবং ছেলেকে নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ওই তিনজন ছাড়াও তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ভাইয়ের পুরো পরিবার, আরও দু’জন পরিচারিকা (যাঁরা রাজারহাটের অংশে থাকেন বলে জানা গিয়েছে), রক্ত সংগ্রাহক—প্রত্যেককেই আগামী ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি যে ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন, তাঁকেও বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি গত ২০ মার্চ সাঁকরাইলে নিজের কারখানায় শেষবার গিয়েছিলেন। এরপর ২২ মার্চ থেকে তাঁর জ্বর হয়। তখন তিনি স্থানীয় ডাক্তার দেখান। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। গত রবিবার ২৯ মার্চ শরীর আরও খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, ওনার সংস্পর্শে গত কয়েকদিন কেউ আসেনি। এদিকে, এই করোনা আক্রান্তের বাইরের যোগ সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তাঁর সাঁকরাইলের কারখানায় ভিনরাজ্যের কিছু শ্রমিক কাজ করেন।
এদিকে, করোনা পজিটিভের খবর আসতেই বেলঘরিয়ার রথতলায় প্রবল আতঙ্ক ছড়াল। আক্রান্ত প্রৌঢ রথতলায় একটি ছোট রেস্তরাঁ চালান। ফলে লকডাউনের আগে সেই রেস্তরাঁয় কে কে গিয়েছিলেন, তা চিহ্নিতকরণের কাজ চালাচ্ছে কামারহাটি পুরসভা। আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ছোট মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রৌঢ়ের ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তবে তাঁরা দুজনেই এখনও পর্যন্ত সুস্থ রয়েছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ রথতলারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার সন্ধায় রথতলার পুরো এলাকা জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়। ওই প্রৌঢ় চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন। গত ১৬ মার্চ তিনি বাড়িতে ফেরেন।