কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার, মুখ্যমন্ত্রীর করোনা প্রতিরোধী ত্রাণ তহবিলে এককালীন অর্থ সাহায্য করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের তরফে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও স্কুলের তরফেও এই বিশেষ তহবিলে ৪০ লক্ষ টাকা এককালীন অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষকর্মীরা তাঁদের একদিনের মাইনে দান করবেন। সঙ্গে প্রাক্তনীদের অনুদানের অর্থ মিলিয়ে এই পরিমাণ টাকা উঠবে বলেই আশাবাদী সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি বিশেষ ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করা হয়েছে। স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এছাড়াও, রায়গঞ্জ, বর্ধমান ও বিদ্যাসাগর ডিসিসিবি, কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং কাঁথি এআরডিবি অর্থ সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলির থেকে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা অনুদান মিলেছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ব্যক্তিগতভাবে দেড় লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেছেন এই করোনা তহবিলে। এছাড়াও, ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ টাকা দান করেছে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের হাতে সেই চেক তুলে দিয়েছেন তাঁরা। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তরফেও চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের ১৭১টি পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে এক লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা অনুদানের চেক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের হাতে দেওয়া হয়েছে। শহরের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এলাকার ২৫টি ক্লাবকে অর্থদানের অনুরোধ জানিয়েছেন। সঙ্গে সম্মিলনী কলেজ, এন্ড্রুজ কলেজ ও কে কে দাস কলেজকেও মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলে সাহায্য করতে বলেছেন। এই মর্মে ৩০ লক্ষ টাকা তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাপ্পাদিত্য। এছাড়াও বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ১ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শহরের অসহায় গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কলকাতা ইসকনও। সারা দেশজুড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে প্রতিদিন তাঁরা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ইসকনের প্রতিনিধিরা ফুটবাসীদের মুখে এই বিপর্যয়ের সময় খাদ্য তুলে দিচ্ছেন।