রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আবাসনের ১৬ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে আগুন বেরোতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে তা উপরের তলাকেও গ্রাস করে। আবাসনের বাসিন্দাদের কথায়, ১৬ তলার ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান। ধোঁয়া দেখেই ফ্ল্যাটে থাকা পরিবার বাইরে বেরিয়ে আসেন। ফায়ার অ্যালার্ম বাজান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন গোটা ফ্ল্যাটকে গ্রাস করে ফেলে। দাউদাউ করে ফ্ল্যাটটি জ্বলতে দেখেন আবাসিকরা। আবাসন চত্বর ও আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। আগুন ১৭ তলায় উঠে সেখানেও একটি ফ্ল্যাটে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় লিফ্ট। আগুন দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান ওই আবাসনের সকলেই। নীচে নামার জন্য বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। খবর পেয়ে আসে ভবানীপুর থানার পুলিস ও দমকল। আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, ডিজি ফায়ার জগমোহন, ডিসি সাউথ মিরাজ খালিদ, এলাকার কাউন্সিলার অসীম বসু সহ পদস্থ কর্তারা। থানার অফিসাররাই বাসিন্দাদের পিছনের সিঁড়ি দিয়ে সকলকে নিরাপদে নীচে নামিয়ে আনেন।
প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা দেখে আরও বেশি ইঞ্জিন আনা হয়। কিন্তু উঁচুতে আগুন লাগায় সাধারণ ইঞ্জিনে কাজ না হওয়ায় আনা হয় ল্যাডার। তা দিয়ে দমকল কর্মীরা ১৬ তলায় পৌঁছন। কিন্তু বাতাসের গতি থাকায় জল আগুন পর্যন্ত পৌঁছতে বেগ পেতে হয়। জোরে বাতাস চলায় আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। সে সময় উপরতলায় জল দিতে আবাসনে থাকা পাম্প ব্যবহার করতে গিয়ে দমকল কর্মীরা দেখেন সেটি খারাপ। জলাধারেও জল ছিল না। বাধ্য হয়ে নীচে থেকে পাইপ উপরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজ করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়।
দমকলের ডিজি জগমোহন জানিয়েছেন, পাম্প খারাপ থাকার কারণে বাইরে থেকে জল আনতে হয় তাঁদের। তারপর পরপর পাইপ লাগিয়ে উপরে নিতে যেতে হয়। পাম্প ঠিক থাকলে অনেক আগেই তাঁরা আগুন নিভিয়ে ফেলতেন। দমকল কর্মীদের বক্তব্য, এই আবাসনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নামেই গড়ে তোলা হয়েছিল, কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হত না। যে কারণে পাম্প খারাপ হয়ে গেলেও তা কারও নজরে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেন ঠিকমতো কাজ করল না, তা আবাসনের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে।