বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, সাবা ইকবাল ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে টিকিট পেতে চান। দলীয় টিকিট না পেলেও নির্দল হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তৈরি সাবা। যা নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে।
লকডাউনে কাজ কর্মে যেতে না পারা বিভিন্ন পরিবারের জন্য ত্রাণ বিলি করতে নামেন সাবা এবং তাঁর অনুগামীরা। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ সাবা এবং তাঁর লোকজন ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসে বিরিয়ানি বিলি করছিলেন। সেই খবর পেয়ে চলে আসেন সাদাবের অনুগামীরা। সাদাবের কথায়, সাবা নিজের ওয়ার্ডের বদলে আমাদের ওয়ার্ডে এসে বিরিয়ানি বিলি করছিল। আমরা তাতে বাধা দিইনি। কিন্তু ও মাঝরাতে ঘরে ঘরে গিয়ে বিরিয়ানি দিচ্ছিল। এটা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তখনকার মতো বচসা-বিবাদ বড় আকার না নিলেও রবিবার সন্ধ্যা থেকে ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। সাদাবের অভিযোগ, সাবা এবং তার ভাই প্রায় দু’শো ছেলে নিয়ে এসে এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। ওয়ার্ড অফিস ভাঙচুর করে। রাস্তায় দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি গাড়ি, দু’টি অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তুমুল ইটবৃষ্টিতে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। এর মধ্যে বোমা পড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। আখতারি নিজামির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সাবা ইকবাল পাল্টা বলেন, আমরা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের সেই ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেন ওখানকার কাউন্সিলরের ছেলে। রীতিমতো আগ্নেযাস্ত্র বোমা নিয়ে তাঁর লোকজন হাজির হয়। এলোপাথাড়ি বোমা ছুঁড়তে থাকে তাঁরা। যদিও সাদাবের দাবি, সাবার লোকজনের মজুত করা বোমাই ফেটেছে। তাই যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে গার্ডেনরিচ থানার পুলিস ছাড়াও, বন্দরের বিভিন্ন থানার বাহিনী এবং ডিভিশনের রিজার্ভ ফোর্স ধরপাকড় শুরু করে।