পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাস্তা, বাজার ছাড়াও হাসপাতাল, সরকারি অফিসের ভিতরও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। ইউনিটের একটি করে দল সরকারি অফিসগুলির মেঝে, চত্বর এবং আশপাশের রাস্তা স্যানিটাইজ করছে। ইউনিটের অপর দলটি সরকারি অফিসের ভিতরে গিয়ে সিঁড়ি এবং অন্যান্য জায়গা পরিষ্কার করছে। জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নও। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দমকল বিভাগের কর্মীরা প্রথমে আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিং-এ, তারপরে কিড স্ট্রিটে বিধায়কদের আবাসন জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেন। আগুনের সঙ্গে অসম যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দমকল কর্মীরা শহরে করোনা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। কলকাতা, সল্টলেক, দমদম— মূলত যে জায়গাগুলো থেকে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, সেই সমস্ত জায়গাকেই দমকলের স্যানিটাইজেশন বা জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর অঙ্গ হিসেবেই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি অফিস— এইসব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে দমকলের ফায়ার ফাইটাররা।
রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, করোনা ঠেকাতে নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিদিন শহর, লোকালয় সাফসুতরো করার অভিযানে নেমেছে দমকল বিভাগ। জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এই মুহূর্তে আর অন্য কোনও কিছুই ভাবছে না রাজ্য। গোষ্ঠী- সংক্রমণ আটকাতে রাজ্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে। যেসব এলাকাতে ভিড়, জমায়েত হতে পারে, সেইসব জায়গাকেই জীবাণুমুক্ত করা হবে। হাসপাতাল, অফিস অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
কলকাতা পুরসভাও ক্লোরিন দিয়ে শহর জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। যা দেখে ট্যুইট করে প্রশংসা করেছেন অমিতাভ বচ্চন। লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যে এভাবে রোজ লোকালয় জীবাণুমুক্ত করা গেলে করোনা যুদ্ধের ফল আরও ভালো হওয়ার আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক দমকল আধিকারিক জানান, হাইপোক্লোরিন ফোম আকারে স্প্রে করা হলে জীবাণু ও ভাইরাস দূর করা সম্ভব। ফায়ার ফাইটারদের কাজ এখন তাই করোনা আগুন নেভানো। শহরকে জীবাণুমুক্ত করতে ২০টি স্প্রিঙ্কলার গাড়ি ও ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার প্রতিদিন রাস্তায় নামছে।