বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হরিদেবপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকতেন আশিসবাবু। বছর দশেক আগে তিনি এই ফ্ল্যাটটি কেনেন। তিনি হিন্দুস্তান পেট্রলিয়ামের পদস্থ কর্মী। লকডাউনের কারণে একদিন অন্তর অফিস যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে অফিস থেকে ফেরেন। শুক্রবার ছুটি ছিল। সরকারি নির্দেশিকার কারণে ঘর থেকে বাইরে বেরননি। মেয়ে মামার বাড়িতে রয়েছেন। লকডাউনের কারণে ফিরতে পারেননি। স্বামী- স্ত্রী ছিলেন পাঁচতলার ফ্ল্যাটে। শনিবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে আগুন দেখতে পান কয়েকজন বাসিন্দা। তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা অন্যান্যদের ডেকে পাঠান। এরপর সকলে মিলে পাঁচতলার ফ্ল্যাটে ওঠেন। প্রতিবেশীরা দেখেন, কোলাপসিবল গেল তালা মারা রয়েছে। চাবি হারিয়ে ফেলায় ঘরের মধ্যে আটকে পড়েছেন আশিসবাবুর স্ত্রী। শেষমেশ স্থানীয়রা তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকেন। দেখা যায়, ভিতরের ঘরে আগুন জ্বলছে। পুড়ে গিয়েছেন আশিসবাবু। প্রতিবেশীরাই আগুন নেভান। খবর পেয়ে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিস। তারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই ব্যক্তিকে।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জেনেছে, আশিসবাবু খাওয়াদাওয়ার পর ঘরের মধ্যে নিয়মিত সিগারেট ধরাতেন। শুক্রবার রাতেও তিনি ধূমপান করছিলেন বলে জেনেছেন অফিসাররা। তাঁদের অনুমান, সিগারেট খাওয়ার পর অবশিষ্ট টুকরো ভালো করে নেভাননি। ধিক ধিক করে তাতে আগুন জ্বলছিল। ফ্ল্যাটের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ফেলে দেওয়া সিগারেটের টুকরো থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্ত্রী পাশের ঘরে থাকায় তিনি কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। কোলাপসিবল গেটের চাবি হারিয়ে ফেলায় স্ত্রী দরজা খুলে বাইরে বেরোতে পারেননি। যে কারণে আগুন বেড়ে যায়। চিৎকার করলেও ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা তা শুনতে পাননি। যে কারণে এত বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।