কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বৈদ্যবাটির বাসিন্দা বছর ৫৮র ঊষা দেবী আট বছর ধরে সল্টলেকের করুণাময়ীর একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। আগে তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন। মাস খানেক আগে গৃহকর্ত্রীর সন্তান হওয়ায় তিনি সেখানে সারাক্ষণ থাকতেন। কাপড় কাচা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজকর্ম করতেন। করোনা সংক্রমণের জেরে দেশে লকডাউন হওয়ার পর বাড়ির মালকিন সিদ্ধান্ত নেন, পরিচারিকা রাখবেন না। কারণ বাইরের লোক থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ ঊষা দেবীকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন মালকিন। পরিচারিকার বড় ছেলের বাড়ি হাতিয়াড়ায়। তাঁকে সল্টলেক থেকে গাড়িতে করে হাতিয়াড়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুত্রবধুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় সেখানে না থেকে কাছেই এক বন্ধুর বাড়িতে চলে যান তিনি। এরপর স্থানীয় অনেককেই অনুরোধ করেন তাঁকে বৈদ্যবাটিতে পৌঁছে দিতে। কিন্তু কেউই তাঁর কথা শোনেননি এবং পৌঁছে দিতেও রাজি হননি। বাধ্য হয়েই ওই মহিলা এক অপরিচিতের বাইক চড়ে বৃধবার কাঁকুড়গাছিতে আসেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। এখানে এসে ওঠেন। কিন্তু জায়গা এতটাই কম তাঁর থাকা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ২৫ তারিখ রাত সেখানে কাটান। কিন্তু থাকার অসুবিধা হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছিলেন পুলিস বিভিন্নভাবে আটকে পড়া মানুষজনকে সাহায্য করছে এবং তাঁদের বাড়িও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। সেখান থেকেই তাঁর মাথায় আসে থানায় গিয়ে বিষয়টি বলবেন। যদি পুলিস কিছু সাহায্য করে। সেইমতো আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে তিনি ফুলবাগান থানায় আসেন বৃহস্পতিবার। অফিসারদের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা জানান। তাঁদের অনুরোধ করেন যেভাবে হোক বৈদ্যবাটিতে ফিরিয়ে দেওয়ার।
এই নিয়ে ফুলবাগান থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন অফিসাররা। তিনি তাঁদের নির্দেশ দেন মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। এরপর পুলিস নিজেই একটি গাড়ি জোগাড় করে। রাস্তায় যাতে ওই মহিলা কোনও সমস্যায় না পড়েন সেজন্য এক মহিলা অফিসারকে দিয়ে বৃহস্পতিবার বৈদ্যবাটি পাঠানো হয়। রাতেই তিনি সেখানে পৌঁছে যান। নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরে খুশি ওই পরিচারিকা। অন্যদিকে, বেলেঘাটা থানায় শুক্রবার দুপুরে এক মহিলা এসে জানান, তাঁর মেয়ের জন্য রক্ত প্রয়োজন। মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু গাড়ি না পাওয়ায় তিনি ব্লাডব্যাঙ্কে যেতে পারছেন না রক্ত নিতে। এরপরই পুলিস তাঁকে গাড়ির ব্যবস্থা করে ব্লাডব্যাঙ্কে পৌঁছে দেন।