পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকালেও বারাসত, বসিরহাট ও বনগাঁর বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এলাকাবাসী ভিড় জমান। সচেতনতার অভাবে মানুষ গায়ে গা লাগিয়ে বাজারহাট করেন। তবে এদিন জেলায় ভিড় হটাতে পুলিসি সক্রিয়তা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। মছলন্দপুর, বারাসত, বসিরহাটের দুধ চাষিরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। পাশাপাশি, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবড়ায় ভবঘুরেদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভবঘুরেদের কষ্টের কথা ভেবে হাবড়ায় আমরা রান্না করা খাবার ওদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আগামীদিনে জেলার সব পুরসভা এলাকায় এটা চালু করা হবে।
বারাকপুর থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বারাকপুর মহকুমা এলাকায় এখনও অসচেতন মানুষেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাড়ার মোড়ে মোড়ে চলছে আড্ডা। পুলিস তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও পুলিসের অতি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিন করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বৃহস্পতিবার এক লক্ষ টাকা দান করলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
এদিকে নৈহাটি বড়মা মন্দির কমিটিপক্ষ থেকে দরিদ্রদের খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। মন্দিরে রান্নার পর তা দরিদ্র, ভবঘুরে ও পথ কুকুরদের বন্টন করা হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এই দাবি জেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, এ যাবৎ বিদেশ ও ভিন রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষ জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে সেভাবে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতা হিসাবে যাঁদের বাড়িতে থাকার জন্য বলা হয়েছিল, তাঁরা তা পালন করছে কী না সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জায়গার আশা কর্মী ও প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের গোসাবা দ্বীপে এদিন করোনা সম্পর্কিত চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হল। গোসাবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সংলগ্ন একটি জায়গাতে ১০ শয্যার এই ইউনিটে জ্বর, সর্দি, ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যার বিষয়টি দেখা হবে।
অন্যদিকে, এদিন লকডাউন সরজমিনে দেখতে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ প্রশাসনের একটি টিম বজবজ-২ ও নোদাখালি বাজার ঘুরে দেখে। বেশ কয়েকজন গরিব মানুষ জেলাশাসকের কাছে সাহায্য চাইলে মাথা পিছু ৬ কেজি চাল, তিন কেজি আলু ও এক কেজি ডাল দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে রেশনের মাধ্যমে তা পাওয়া যাবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়।